৪ কোটি টাকা বিদেশে পাচার, চট্টগ্রামের লাকী ট্রেডিংসহ ৪ প্রতিষ্ঠান মামলায়

৪ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের ঘটনায় জড়িত দুই আমদানিকারক ও সংশ্লিষ্ট সিএন্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা দায়ের করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। অর্থ পাচারের সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ায় বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে নগরীর বন্দর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন কাস্টমসের দুই সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ইউক্রেন থেকে ৯০০ টন সরিষা আমদানির করে চট্টগ্রামের নুর আহমদ সড়কের লাকী ট্রেডিং। কিন্তু কায়িক পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বন্দরে আসা কন্টেইনারে মাত্র ১০ টনের মতো সরিষা পাওয়া যায়। অথচ আমদানির উদ্দেশ্যে ৪ লাখ ৩৩ হাজার ডলার এলসি করেন জুবলী রোডের সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে। এতে প্রায় ৪ লাখ ১২ হাজার ৩৪৭ ডলার পাচার হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। যা বাংলাদেশি টাকায় ৩ কোটি ২৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। বিগত ২০১৬ থেকে ২০১৭ অর্থ বছরে এ অর্থ পাচার করেন ওই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ।

দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলাটি (৩৪/৫১৮) দায়ের করেন। এ ঘটনায় লাকী ট্রেডিংয়ের মালিক মো. ইউসুফ চৌধুরী (৬৭), সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স এইচ কে এন্ড কোম্পানি লি. এর মালিক তাহেরা আক্তার মরিয়ম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদ উল্লাহ, পরিচালক মুরশেদুল আলম ও ওয়াহীদ উল্লাহকে আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডরিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ ও ২০১৫, কাস্টমস এ্যাক্ট ১৯৬৯ ও বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর ২৫ খ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

অপর দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ঢাকার বাড্ডা এলাকার আমদানিকারক এখলাস ট্রেডিং ১০ টন পুটি সিলেন্ট আমদানির জন্য ৯ হাজার ২৬৪ ডলার এলসি করেন শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ঢাকার উত্তরা শাখা থেকে। এসব মালামাল খালাসের জন্য ১৮ ডিসেম্বর বিল অফ এন্ট্রি দাখিল করে চট্টগ্রামের জুবলী রোডের সিএন্ডএফ এজেন্ট তানজিনা ইন্টারন্যাশনাল। কিন্তু কায়িক পরীক্ষায় কাস্টমস কর্মকর্তা দেখেন ঘোষিত পণ্যের পরিবর্তে রয়েছে উচ্চ মূল্যের কসমেটিক সামগ্রী। এছাড়াও জালিয়াতির মাধ্যমে পণ্যটি বন্দর থেকে খালাস করে নিয়ে গেছে। এতে প্রায় এক কোটি টাকা পাচার হয়েছে।

এ ঘটনায় আমদানিকারক এখলাস ট্রেডিংয়ের মালিক কাজী জাহিদুল ইসলাম (৩০) ও সিএন্ডএফ এজেন্ট আলমগীর সরকারকে (৪৩) বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা দারাশিকো।

তিনি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, মিথ্যা ঘোষণা করা এটি একটি প্রতারণা। জালিয়াতি ও অর্থ পাচার করা এটি ফৌজদারী অপরাধ। তাই থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এএস/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!