৪৩০ জনের কমিটিতেও তুষ্ট নয় চবি ছাত্রলীগ, আরও বাড়ানোর দাবি

চলতি বছরের ৩১ জুলাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের ৪৩০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তবে বিশাল সংখ্যক সদস্যের এই কমিটিতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি নেতাকর্মীরা। তাই পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিতদের অন্তর্ভুক্ত করে কমিটি বর্ধিত করার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন শাখা ছাত্রলীগের একাংশ।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্ত্বরে এই মানববন্ধন করেন সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী ছয়টি গ্রুপের নেতাকর্মী।

গ্রুপগুলো হলো— ভিএক্স, কনকর্ড, আরএস, বাংলার মুখ, এপিটাফ ও উল্কা।

মানববন্ধনে বক্তারা পদবঞ্চিত ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে অন্তর্ভুক্তকরণ, কমিটিতে পদপ্রাপ্ত নেতাদের যোগ্যতা অনুযায়ী ক্রমানুসারে পদমূল্যায়ন এবং কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরিজীবী, দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে দাবি জানান।

শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও আরএস গ্রুপের নেতা রাকিবুল হাসান দিনার বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পকেট কমিটিতে দীর্ঘদিন রাজনীতিতে ও রাজপথে ত্যাগ-শ্রম দেয়া অনেক নেতাকর্মীকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে, পদবঞ্চিত করা হয়েছে। বিতর্কিত ও সংগঠন পরিপন্থী অনেককে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আমরা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, বিতর্ক রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবেন। একই সঙ্গে ত্যাগী ও পরিশ্রমীদের মূল্যায়ন করা হোক।

আরেক সহ-সভাপতি ও ভিএক্স গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, গত ৩১ জুলাই চবি ছাত্রলীগের যে কমিটি হয়েছে তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক আছে। এ কমিটিতে অনেক বিতর্কিত আছেন যারা স্থান পেয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ দীঘদিন জামাত শিবিরের সঙ্গে লড়াই করে আজকে এ জায়গায় এসেছে। সেই কমিটিতে যদি অযোগ্য-বিতর্কিরা স্থান পায়, তাহলে আমরা যারা মুজিব আদর্শের সৈনিক তাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। যখন দীর্ঘদিন পরিশ্রম করা কর্মীদের কমিটিতে স্থান না দিয়ে হঠাত করে এক দেড় মাস ক্যাম্পাসে সময় দেয়া কাউকে কমিটিতে স্থান দেয়া হয়, তা দেখে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়।

এমআইটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!