৪২ টাকায় পেঁয়াজ এনে ৯৫ টাকায় বিক্রি!

রিয়াজউদ্দিন বাজারে ২ জন আটক

পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি রোধে মিটিং-অভিযান পরিচালনা করেও দাম আয়ত্বে আনা যাচ্ছে না। পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী ব্যবসায়ীদের ধরতে এবার অভিযানে নেমেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দীন বাজারের দুই ব্যবসায়ীকে আটক করেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আটক দুইজনকে ১৫ দিনের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম এবং সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. সেলিম হোসেন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

অভিযানে রিয়াজউদ্দিন বাজার নূপুর মার্কেটের ঘোষাল কোয়ার্টার থেকে জেএস ট্রেডার্সের মালিক মিনহাজ উদ্দিন বাপ্পি এবং এ হোসেন ট্রেডার্সের মালিক আবুল হোসেনকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা মিয়ানমার থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ আমদানি করে তা পাইকারদের কাছে ৯৫ টাকায় বিক্রি করছিলেন। তারা আমদানির চালান ও কাগজপত্র বিনষ্ট এবং কোথায় কাদের কাছে কি পরিমাণ পেঁয়াজ সরবরাহ করেছেন সেই চালান ও কাগজপত্র লোপাট করে বাজারে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন। এবং এ সুযোগে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য করেছেন। এই কারসাজি ও অপরাধের জন্য তাদের দু’জনকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৫৬ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন বলে ১৫ দিনের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৫৬ অনুযায়ী অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বেলায় আমদানি মূল্য ও পরিমাণের সাথে বিক্রয়মূল্য ও পরিমাণ এসব তথ্যসম্বলিত চালান ও কাগজপত্র সংরক্ষণ ও সরবরাহ করা আবশ্যক। না হলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো ওমর ফারুক বলেন, মিয়ানমার থেকে অন্যান্য পণ্যের সাথে পেঁয়াজ আমদানি করে বেশি দামে বিক্রয় ও আমদানি চালান দেখাতে না পারায় দুই ব্যবসায়ীকে ১৫ দিন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সিএম/সিআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!