৩ ঘণ্টা আগেই অনশন শেষ করলো বিএনপি

৩ ঘণ্টা আগেই অনশন শেষ করলো বিএনপি 1ঢাকা প্রতিনিধি : খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে অনশন শেষ করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ এই অনশন ভাঙান।বুধবার সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত পূর্বঘোষিত অনশন কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে মির্জা ফখরুল এ ঘোষণা দেন। তিনি সাড়ে ১১টার পর এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, আমাদের অনশন কর্মসূচি বিকেল ৪টা পর্যন্ত করার কথা থাকলেও প্রশাসনের অনুরোধে তা ১টায় শেষ করতে হলো।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে প্রেসক্লাবের সামনে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন দলটির নেতাকর্মীরা।

এ ছাড়া কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহামদ ইবরাহিম, খেলাফত মজলিসের মওলানা মোহামদ ইসহাক, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালীও কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন।

এর আগে অনশনে অংশ নেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস-চেয়ারম্যান ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, সংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন প্রমুখ।

আরো ছিলেন বিএনপি নেতা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, জয়নাল আবেদিন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাখাওয়াত হোসেন জীবন, আমিনুল হক, ওবায়দুল ইসলাম, আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, হাবিবুল ইসলাম হাবীব, হাবীবুর রশিদ হাবীব, কাজী আবুল বাশার, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

এ ছাড়া অঙ্গ দলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, মামুনুর রশিদ মামুন, আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, হাফেজ এম এ মালেক, নুরুল ইসলাম নাসিম কর্মসূচিতে অংশ নেন।

২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে অংশ নেন মোস্তফা জামাল হায়দার, শাহাদত হোসেন সেলিম, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, হামদুল্লাহ আল মেহেদী, জাতীয় দলের এহসানুল হুদা প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। এরপর থেকেই ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় অপর একটি মামলা করে দুদক।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

বৃহস্পতিবারের রায়ে তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন— মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!