৩৮ ঘন্টার অপেক্ষা শেষে বন্দরে ভিড়ছে জাহাজ, পণ্য খালাস শুরু

ঘূর্ণিঝড় ‘ ফণী’র ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচাতে বহির্নোঙ্গরে পাঠিয়ে দেওয়া জাহাজগুলো রাতের জোয়ারে ভিড়ছে চট্টগ্রাম বন্দরে। এরপর শুরু হবে জাহাজ থেকে পণ্য উঠা-নামার কাজ। এদিকে ‘ফণী’র প্রভাবে বন্ধ থাকার ৩৮ ঘণ্টা পর চট্টগ্রাম বন্দর চত্বর থেকে আমদানি পণ্য খালাস শুরু হয়েছে। বন্দরের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, শনিবার (৪ মে) দুপুর দুইটা থেকে ব্যবসায়ীরা জাহাজ থেকে আগে নামানো আমদানি পণ্যগুলো খালাস শুরু করেছেন। এর আগে ঘূর্ণিঝড় ফণীর মোকাবেলায় বৃহস্পতিবার সকালের জেটিতে অবস্থান করা জাহাজগুলো গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ওই সময় জাহাজ থেকে পণ্য উঠা-নামা বন্ধ হয়ে যায়। আর ওই দিন রাত ১২টার দিকে বন্দর চত্বর থেকে ট্রাকে বা কাভার্ড ভ্যানে পণ্য খালাস কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যায়।

ফণী’র প্রভাব কেটে যাওয়ায় শনিবার (৪ মে) দুপুর দুইটার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘জোয়ার না থাকার কারণে বহির্নোঙ্গরে পাঠিয়ে দেওয়া জাহাজগুলো বন্দরে আনা যাচ্ছে না। রাত আটটার দিকে জোয়ার আসবে। তখন জাহাজগুলো বন্দরে ভীড়তে শুরু করবে। পণ্য উঠা-নামার কাজও শুরু হবে।’

এদিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার বলছে, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে গড়ে দৈনিক ২০টি জাহাজ আমদানি পণ্য নিয়ে আসে। এর মধ্যে গড়ে ১০টি জাহাজ রপ্তানি পণ্য নিয়ে যায়। পবিত্র শব-ই-বরাত, মে দিবস, সাপ্তাহিক ছুটি এবং ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে চার দিন বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম বন্দরে সাত দিন কর্মকান্ড ব্যাহত হয়েছে। যে কারণে বহির্নোঙ্গরে ১৭টি কন্টেইনার জাহাজসহ বেশ কিছু জাহাজ বহি:নোঙ্গরে অবস্থান করছে। অন্যদিকে, ঘূর্নিঝড় ফণীর কারণে জেটি নিরাপত্তার জন্য সাতটি জাহাজ রপ্তানী পণ্য ছাড়াই বহির্নোঙ্গরে পাঠানো হয়েছে।’

এমএ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!