৩৫ বছরে পা, সানশাইন গ্রামারে বর্ণিল আয়োজন

বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রতিষ্ঠার ৩৫ বছর উদযাপন করেছে চট্টগ্রামের ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সানশাইন গ্রামার স্কুল অ্যান্ড কলেজ। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম নগরের সিআরবির শিরীষতলায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

সকালে নগরের হল টোয়েন্টিফোর কনভেনশন সেন্টারের সামনে থেকে বর্ণিল শোভাযাত্রা বের করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তা গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিআরবির শিরীষতলায় এসে শেষ হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় অতিথির বক্তব্যে পিএইচপি পরিবারের চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, জীবনের মূল উদ্দেশ্য হতে হবে মানুষের জন্য কিছু করা। মানুষের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতে হবে। মানুষকে সাহায্য করতে হবে।

দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এমএ মালেক বলেন, যে শিক্ষা মানবতা শেখায় না সেটি কোনো শিক্ষা না। অপরের জন্য কাজ করে যেতে হবে। অন্যের দুঃখে দুঃখিত হলেই তখনই হবে শিক্ষার স্বার্থকতা। পৃথিবী ও দেশকে বদলাতে হলে নিজেকে বদলাতে হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্যে সানশাইন গ্রামার স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সাফিয়া গাজী রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরাই আমাদের প্রাণ। তাদের ছাড়া আমরা বাঁচব না। আমাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এখন দেশবিদেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।

৩৫ বছরে পা, সানশাইন গ্রামারে বর্ণিল আয়োজন 1

৩৫ বছর পূর্তি উৎসবের দ্বিতীয় পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বেলা তিনটা থেকে দুই পর্বে হল টুয়েন্টিফোর কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় এই উৎসব। প্রথম পর্বে অংশ নেয় সানশাইন গ্রুপের দুই প্রতিষ্ঠান সানশাইন গ্রামার স্কুল এন্ড কলেজ এবং চট্টগ্রাম সানশাইন স্কুলের প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই পর্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন চট্টগ্রাম সানশাইন স্কুলের শিক্ষিকা মাহজাবিন শামস এবং নাজমা আক্তার। দ্বিতীয় পর্বে সন্ধ্যা সাতটা থেকে অংশ নেয় এই দুই প্রতিষ্ঠানের পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা। চট্টগ্রাম সানশাইন কলেজের ছাত্র চ্যানেল আইয়ের ক্ষুদে গানরাজ খ্যাত শাহরিয়ার গানের মাধ্যমে শেষ হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শেষ পর্ব উপস্থাপনা করেন সানশাইন গ্রামার স্কুল এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী রাইদা আইমান আস্থা।

এই পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান ও অভিনেতা ফেরদৌস হাসান। মেজর জেনারেল মতিউর রহমান শিক্ষা কাযর্ক্রমে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততার কথা বলেন এবং সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় মেডিকেল কলেজ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রম ব্যাখ্যা করেন। ক্যাডেট কলেজসমূহের ব্যবস্থাপনার ওপরও তিনি আলোকপাত করেন।

বক্তৃতা শেষে মেজর জেনারেল মতিউর তার পক্ষ থেকে ক্রেস্ট দিয়ে সানশাইন পরিবারকে সম্মানিত করেন।

অভিনেতা ফেরদৌস তার বক্তব্যে অধ্যক্ষ সাফিয়া গাজী রহমানকে তার অত্যন্ত কাছের বন্ধু সম্বোধন করে বলেন তিনি নিজেকে সানশাইন পরিবারের অংশই মনে করেন।

সানশাইনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই উৎসবে উপস্থিত থেকে মানসিক স্বাস্থসেবার ওপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন ড. মেহতাব গাজী রহমান। তিনি মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। উল্লেখ্য ড. মেহতাব গাজী রহমান সানশাইন গ্রামার স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র। বর্তমানে তিনি লন্ডনের অন্যতম একটি সাইকিয়াট্রিক আইসিইউর দায়িত্বে আছেন।

অনুষ্ঠান শেষে ক্রেস্ট দিয়ে স্পনসরদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। পিএইচপি ফ্যামিলির পক্ষ থেকে ক্রেস্ট গ্রহণ করেন পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম এবং কেএসআরএম-এর পক্ষে কবির গ্রুপের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সারওয়ার জাহান। এই দুজনই সানশাইন গ্রামার স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র।

এই উৎসবের পুরো অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন সানশাইন গ্রামার স্কুল এন্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রধান রেফায়াত কবির শাওন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!