‘২ বছরের মধ্যে শহর থেকে রেললাইন চুয়েট হয়ে কাপ্তাই যাবে’

চুয়েটের ‘শামসেন নাহার খান হল’ উদ্বোধন

পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীরা দেশের অগ্রগামী সৈনিক। তাদের হাতেই আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। এক্ষেত্রে প্রকৌশলীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’

তিনি বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট)-এ.কে. খান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এবং চুয়েটের গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের সহযোগিতায় নবনির্মিত আবাসিক ছাত্রী হল ‘শামসেন নাহার খান হল’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘চুয়েট অত্যন্ত সুন্দর ক্যাম্পাস। দারুণ সাজানো-গোছানো। শিক্ষার চমৎকার পরিবেশ। একে খান পারিবার যেভাবে আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর মাধ্যমে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবন তৈরি করে দিচ্ছে সেটা অভূতপূর্ব। তাদের এসব উদ্যোগ প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয়।’

চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম সম্মাননা স্মারক তুলে দেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নানের হাতে।
চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম সম্মাননা স্মারক তুলে দেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নানের হাতে।

চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে শামসেন নাহার খান হল প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রেলপথবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম-৬ আসনের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল অব বাংলাদেশ মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)-এর চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ এবং একে খান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি সেক্রেটারি সালাহউদ্দিন কাসেম খান প্রমুখ।

নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এটিএম শাহজাহান এবং মানবিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহিদা সুলতানার যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল। বক্তব্য রাখেন একে খান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি এম জিয়াউদ্দিন খান, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, শামসেন নাহার খান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন ও সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ফারজানা রহমান জুথী।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই একে খান ও শামসেন নাহার খানের জীবনী তুলে ধরেন শামসেন নাহার খান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আশরাফুল জান্নাত ও ফাহমিদা হামিদ।

উল্লেখ্য, ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এক লক্ষ বর্গফুট আয়তনের ৬ তলা বিশিষ্ট (বেইসমেন্টসহ) চারদিকে সবুজ ঘাসে ঘেরা হলটি স্থাপত্যশৈলীর এক অপূর্ব নিদর্শন। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলীর প্রয়োগে নির্মিত হলটিতে প্রায় ৫০০ ছাত্রীর আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। এই হলটির নকশা করেছেন চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস এবং সজীব পাল।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, ‘২০২২ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম শহর থেকে রেললাইন চুয়েট হয়ে কাপ্তাই চলে যাবে। এছাড়া চুয়েট ক্যাম্পাসকে ঘিরে সিলিকন ভ্যালির আদলে একটা আইটি ভিলেজ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চলছে। আমার পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা থাকবে।’

পরে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম প্রধান অতিথির হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

এসবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!