২৯৮ ফেসবুক আইডি সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার

ফেসবুক দিয়েছে ৪৫ ভাগ আইডির তথ্য

ফেসবুকের কাছে ২৯৮টি আইডি বা একাউন্ট সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে এসব তথ্য চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪৫ শতাংশ আইডির তথ্য বাংলাদেশ সরকারকে দিয়েছে ফেসবুক।

মঙ্গলবার (১২ মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড এনফর্সমেন্ট প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। এই প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অংশে বলা হয়েছে, ২০১৯ এর শেষ ছয় মাসে ফেসবুকের কাছে তথ্য চেয়ে মোট ১৭৯টি আবেদন করে বাংলাদেশ সরকার। এর মধ্যে ৮৪টি আবেদন করা হয় আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে। আর ৯৫টি আবেদন করা হয়েছে জরুরি প্রয়োজনে। আর এসব আবেদনের মাধ্যমে সরকারের পক্ষ থেকে ফেসবুকের কাছে মোট ২৯৮টি আইডির তথ্য চাওয়া হয়।

এসব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৪১ শতাংশ আইনি প্রক্রিয়ার আবেদনে সরকারকে তথ্য সরবরাহ করেছে ফেসবুক। একইসঙ্গে ৫০ শতাংশ জরুরি আবেদনেরও তথ্য দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে গড়ে প্রায় ৪৫ শতাংশ ক্ষেত্রে সরকারকে তথ্য সরবরাহ করেছে ফেসবুক।

সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য চেয়ে আবেদন করার তুলনামূলক চিত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৯ সালের শেষ ছয় মাসে ফেসবুকে বিভিন্ন দেশের সরকার তথ্য চেয়ে মোট এক লাখ ৪০ হাজার ৮৭৫টি আবেদন করে। এর মধ্যে কেবল যুক্তরাষ্ট্র সরকারেরই আবেদন ছিল ৫১ হাজার ১২১টি। এর পর ভারত, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ফ্রান্স থেকে সর্বাধিক অনুরোধ পেয়েছে ফেসবুক।

২০১৩ সালের প্রথম অর্ধভাগে ফেসবুকের কাছে প্রথম তথ্য চেয়ে আবেদন জানায় বাংলাদেশ সরকার। এরপর ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত প্রতিবছরই ফেসবুকের কাছে তথ্য চেয়ে আসছে বাংলাদেশ। তবে ২০১৫ সালের প্রথম অর্ধভাগ পর্যন্ত বাংলাদেশকে কোনো রকম তথ্য দেয়নি ফেসবুক। ওই বছরের দ্বিতীয় ভাগে প্রথম বাংলাদেশকে তথ্য দেওয়া শুরু করে সামাজিক মাধ্যমটি। সেবার মোট আবেদনের প্রায় ১৬ শতাংশ তথ্য বাংলাদেশকে দেয় ফেসবুক।

একইসঙ্গে ২০১৯ সালের শেষ ভাগে ১৬টি আবেদনের মাধ্যমে ১৬টি আইডি সম্পর্কিত তথ্যাদি ‘সংরক্ষণ’ করে রাখার জন্য ফেসবুকের কাছে আবেদন করে বাংলাদেশ।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!