২৯৪ নমুনা পরীক্ষায় চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত ৩২

চট্টগ্রামে করোনার নমুনা পরীক্ষা কমে তিনশর নিচে নেমে এসেছে। চট্টগ্রামের চারটি সরকারি, একটি বেসরকারি এবং কক্সবাজারের একটি ল্যাব মিলে গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ২৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত হয় ৩২ জনের দেহে। একই সময়ে করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন আরও ৪১ জন এবং করোনা কেড়ে নিয়েছে আরও দুজনের প্রাণ।

ফলে নতুন শনাক্তসহ চট্টগ্রামে এখন করোনা রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৪৩৭ জন। এর মধ্যে নগরে ১১ হাজার ৬৮২ জন এবং উপজেলায় চার হাজার ৭৫৫ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৯০৭ জন এবং করোনার কাছে হার মেনেছেন ২৬১ জন। যাদের মধ্যে নগরের ১৮৩ জন ও উপজেলার রয়েছে ৮০ জন।

রোববার (২৩ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।

সিভিল সার্জন জানান, চট্টগ্রামের পাঁচটি ও কক্সবাজারের একটি ল্যাব মিলে ২৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে নগরের ২১ জন এবং উপজেলার ১১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে করোনায় আরও দুজন মারা গেছেন এবং ৪১ জন সুস্থ হয়েছেন।

সিভিল সার্জনের দেয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তে বিদেশগামীদের বাধ্যতামূলক করানো টেস্টসহ দিনের সর্বাধিক ১২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করোনা করা হয়। তাতে করোনা শনাক্ত হয় মাত্র ৩ জন। এর মধ্যে ২ জন নগরের বাসিন্দা এবং ১ জন উপজেলার।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ১ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে দিনের সর্বোচ্চ ২০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে নগরের ১২ জন, বাকি ৮ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৬ জনের করোনার পরীক্ষা হয়। তাতে ৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে ৩ জন নগরের এবং ১ জন উপজেলার।

বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কোন নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

চট্টগ্রামের আরেকটি বেসরকারি ল্যাবে শেভরণ ল্যাবে ২৬ জনের নমুনায় ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যাদের ৩ জন নগরের এবং ১ জন উপজেলার রোগী।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৬ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করেও কোন করোনা রোগী পাওয়া যায়নি।

উপজেলা পর্যায়ে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত ১১ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয় হাটহাজারী উপজেলায়। সেখানে ৩ জন করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া যায়। এছাড়া বোয়ালখালী, রাউজান ও সীতাকুণ্ডে ২ জন করে এবং চন্দনাইশ ও রাঙ্গুনিয়ায় ১ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!