২৫০ টাকার মজুরি চেয়ে খুন হলেন চান্দগাঁওয়ের যুবক

ঘটনা ‘ধামাচাপা’ দিতে চায় থানা

চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার ফরিদারপাড়া এলাকায় জয়নালের ঘরের পানির কল ঠিক করতে মিস্ত্রি ডেকেছিলেন তার সন্তানরা। কাজ শেষে মিস্ত্রি আড়াইশ টাকা মজুরি চায়। এত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় জয়নালের সন্তান জিসান ও রাকিব। এমন সময় জয়নালের ভাইপো কামরুল এসে মিস্ত্রিকে এই টাকা দিয়ে দিতে অনুরোধ জানায়। এতেই কামরুলের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায় জিসান ও রাকিব। একপর্যায়ে কামরুলকে দেয়ালের সঙ্গে আঘাত করতে শুরু করে তারা। মাত্র আড়াই’শ টাকা মজুরী আদায় করে দিতে গিয়ে ঘটনাস্থলেই খুন হতে হয় কামরুলকে।

রোববার (৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় এই ঘটনা ঘটে।কামরুল পেশায় টিভি ও ইলেক্ট্রনিক্স মেকানিক ছিল।

জানা গেছে, বহদ্দারহাট ফরিদারপাড়া এলাকায় জয়নাল আবেদিনের ঘরে পানির কল ঠিক করে মিস্ত্রি আনে তার ছেলেরা। কাজ শেষে ওই মিস্ত্রি জয়নালদের কাছে আড়াই ‘শ টাকা দাবি করে। এ বিষয়টি নিয়ে জয়নালের ছেলে রাকিব, জিসান ও মেয়ে জোহরা বেগমের তর্ক হয়। এ সময় জয়নালের ভাইপো কামরুল এসে ওই মিস্ত্রিকে আড়াই ‘শ টাকা দিয়ে দিতে অনুরোধ জানায়।

কামরুলের পরিবারের দাবি, ওই মিস্ত্রিকে টাকা দিয়ে দিতে বলায় জয়নালের ছেলে রাকিব ও জিসান কামরুলকে মারধর শুরু করে। তারা তাকে দেয়ালের সঙ্গে আঘাত করতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাকিব ও জিসান ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. ইছাকের শ্যালক।

কামরুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ফরিদারপাড়া কামরুল নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে আমরা প্রাথমিকভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থ্যা গ্রহণ করবো।’

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, চান্দগাঁও থানা পুলিশ এ ঘটনায় মামলা নিতে গড়িমসি করছে। পুলিশ এটিকে হত্যা মামলা না নিয়ে অপমৃত্যুর মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার পাঁয়তারা করছে। আপোষের প্রস্তাবও দিচ্ছে পুলিশ।

এফএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!