২৪ ঘন্টা এসি চালু রাখায় বিস্ফোরণে চমেক হাসপাতালে আগুন!

এয়ার কন্ডিশনার (এসি) বিস্ফোরিত হয়ে আগুন লাগল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মানসিক রোগ বিভাগে। ওই এসি রাতদিন ২৪ ঘন্টা সচল রাখায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আধঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।


ভিডিও ক্লিপ এনাম হায়দারের সৌজন্যে

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এই আগুনের সুত্রপাত হয়। পরে নিচতলার একটি অস্থায়ী স্টোররুমে এ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। ১০ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।

আগুন লাগার পর চমেক হাসপাতালের মানসিক রোগ বিভাগ ও এর আশেপাশে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মানসিক বিভাগের প্রধান ডা. এম মহীউদ্দিন সিকদার ২৪ ঘন্টা এয়ার কন্ডিশনার (এসি) চালু রাখতেন। প্রায়ই তিনি সেটি বন্ধ না করেই অফিস তালা দিয়ে চলে যেতেন। এ কারণে গরম হয়ে এসি বিস্ফোরিত হয়েছে ওই সূত্র জানিয়েছে।

হাসপাতালের টেকনেশিয়ান সাইফুর রহমান বলেন, এসি ২৪ ঘন্টা চালু ছিল বলেই আগুনটা লেগেছে। বহুবার বলার পরেও এরা বন্ধ করে না। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে বন্ধ করেছে। প্রত্যেকটা বিভাগেই এই অবস্থা। কেউই এসি বন্ধ করে না।

ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট (এসি বিস্ফোরণ) থেকে আগুন লেগেছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের নয়টি গাড়ি কাজ করেছে। আমরা দ্রুততার সঙ্গে রোগীদের বের করে আনি। রোগীদের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। তাছাড়া লাখখানেক টাকার মালামালও উদ্ধার করি।

চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভূঁইয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ভোরে আগুনের সুত্রপাত হলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিই। তাদের আধঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। তবে কোনো রোগীর ক্ষতি হয়নি। আগুন লাগায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

এসআর/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!