২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বাড়লো ৩ গুণ, চট্টগ্রামে বেড়েছে শনাক্তও

১১ মৃত্যুর দিনে শনাক্ত ৯২৭

আগেরদিন চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যুতে স্বস্তি আসলেও সেটি অস্বস্তিতে পরিণত হয় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই। এদিন করোনায় মৃত্যু বাড়লো ৩ গুণ। ১১ মৃত্যুর মধ্যে ৬ জন মহানগরের এবং ৫ জন উপজেলার বাসিন্দা। একই সময়ে বেড়েছে করোনা শনাক্তও। আগেরদিন ৭৪২ শনাক্ত হলেও তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২৭ জনে। যাদের মধ্যে নগরের ৫৩২ জন এবং উপজেলা পর্যায়ে ৩৯৫ জন।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত বেড়ে ৮২ হাজার ৮৮৬ জন। এর মধ্যে নগরে ৬২ হাজার ৮৮ জন এবং উপজেলা পর্যায়ে ২০ হাজার ৭৯৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৯৭৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে নগরের ৫৮৩ এবং উপজেলার বাসিন্দা ৩৯০ জন।

রোববার (১ আগস্ট) চট্টগ্রাম জেলার করোনা সম্পর্কিত এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, এদিন চট্টগ্রামের ৮টি ও কক্সবাজারের ১টি ল্যাবে ৩ হাজার ১১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৯২৭ জনের।

ল্যাবভিত্তিক ফলাফলে জানা যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩২৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৭৬ জনকে করোনার জীবাণুবাহক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭০ জন নগরের, বাকি ১০৬ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে (বিআইটিআইডি) ৭৬০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭৩ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে ৫৮ জন নগরের এবং ১৫ জন উপজেলার। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ৪১৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ১০৩ জন ও উপজেলার ১৫ জনের শরীরে শনাক্ত করা হয়।

অন্যদিকে, এদিন ১ হাজার ৭৩ জনের এন্টিজেন টেস্ট করানো হয়। এর মধ্যে ৩৩২ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে ১০৮ জন নগরের এবং ২২৪ জন চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার।

এছাড়া, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৪ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে নগরীর ১০ জন ও উপজেলার ৪ জন।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলেও সবগুলোতে নেগেটিভ আসে।

নগরীর বেসরকারি ল্যাবগুলোর মধ্যে শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি ৩৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৭৪ জনই নগরের, বাকি ১০ জন উপজেলার। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ২১ জন ও উপজেলার ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ২৯ জন ও উপজেলার ৩ জনকে করোনার জীবাণুবাহক হিসেবে শনাক্ত করা হয়। ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ১২৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬৪ জনের দেহে করোনার বিষ পাওয়া গেছে। যাদের ৫৯ জনই নগরের, বাকি ৫ জন উপজেলার।

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাব ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে কোন নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

উপজেলা পর্যায়ে শনাক্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগীর খোঁজ মিলে হাটহাজারীতে। সেখানে করোনা শনাক্ত ছাড়িয়ে যায় একশর ঘর—১০৩ জন। এছাড়া রাউজানে ৬৪ জন, পটিয়ায় ৪৯ জন, চন্দনাইশে ৪৫ জন, সাতকানিয়ায় ৩০ জন, সন্দ্বীপে ২৪ জন, ফটিকছড়িতে ২২ জন, বোয়ালখালীতে ১৭ জন, বাঁশখালী ও মিরসরাইয়ে ১০ জন করে, সীতাকুণ্ডে ৯ জন, লোহাগাড়ায় ৮ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৩ জন এবং আনোয়ারায় ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!