২৩০০ পরিবারের উচ্ছেদ চায় বন্দর, প্রতিবাদে রাস্তায় এলাকাবাসী

বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পতেঙ্গা থানা এলাকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে পতেঙ্গার বিমানবন্দর সড়কের লালদিয়ার চর এলাকায় এ মাবনবন্ধন করে স্থানীয়রা।

এ সময় তারা বলেন, ‘নদীর চর ঘেঁষে প্রায় ৪৮ বছর ধরে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানার লালদিয়ার চর এলাকায় বসবাস করে আসছেন ২ হাজার ৩০০ পরিবার। কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ ছাড়াই আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি তাদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দরের বিষয়টি নোটিশের মাধ্যমে জানানো হলে স্থানীয় মাঝে তৈরি হয়েছে উচ্ছেদ আতঙ্ক।’

মানববন্ধনে শুরুতে বক্তব্যে রাখেন স্থানীয় কাউন্সিলর মো. ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বিগত ৪৮ বছর আগে সরকারকে নিজেদের ভিটা মাটি ছেড়ে দিয়ে লালদিয়ার চর এলাকার ২ হাজার ৩০০ পরিবার এখন নিঃস্ব। তাদের থাকার জায়গার ব্যবস্থা না করে এভাবে উঠিয়ে দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন। মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের ভবন নির্মাণ করে দিয়ে যেখানে প্রধানমন্ত্রী মানবিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন, সেখানে এ চরবাসিদের সামান্য থাকার জায়গা ব্যবস্থা করে দেওয়া সরকারের পক্ষে কোনো বিষয় না। আমি এ জনবসতি উচ্ছেদ না করতে সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘চর এলাকার লোকজন খুবই গরিব। উচ্ছেদ করলে ভাড়া বাসায় যাওয়ার মতো সামর্থ্য পরিবারগুলোর নেই। ২৫ ফেব্রুয়ারি তাদের উচ্ছেদ না করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমি আহ্বান জানাচ্ছি। তবুও যদি কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ করতে আসে তাহলে লালদিয়ার চরবাসি ওইদিন বিামনবন্দর সড়কে শুইয়ে থাকবে।’

মানববনন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন সাবেক স্থানীয় কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগীর হাসান, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর প্রার্থী আওয়ামীগ নেতা মো. ফরিদুল আলম, মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য নোটারিয়ান মো. ইলিয়াস।

স্থানীয়রা জানান, ১৯৭২ সাল থেকে লালদিয়ার চর এলাকায় বসবাস করে আসছে ২ হাজার ৩০০ পরিবার। এ, বি ও সি ব্লকে বিভক্ত হয়ে গঠিত লালদিয়ার চর। ২০০৫ সালের ১২ জুলাই লালদিয়ার চরের বি ব্লকে থাকা প্রায় ৫০০ পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়। ২০১৯ সালেও লালদিয়ার চর এ-ব্লকের কিছু অংশ উচ্ছেদ করা হয়। নতুন করে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি এ ব্লক উচ্ছেদ করার জন্য নোটিশ দেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

মুআ/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!