২৩ জুলাই জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালনের দাবিতে মানববন্ধন

দেশের কর্মক্ষম মানুষের মাঝে এক তৃতীয়াংশ মানুষ মানসিক সমস্যায় ভুগছে। মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত প্রায় দুই কোটি মানুষের মধ্যে ১৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ শিশু। যারা বিভিন্ন রকম মানসিক রোগে ভুগছেন।

সোমবার (২২ জুলাই) বিকেলে প্রেসক্লাবের সামনে সরকারিভাবে ২৩ জুলাই ‘জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য দিবস’ পালনের দাবিতে নাগরিক সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন মেন্টাল হেলথ অ্যাডভোকেসি অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে কর্মরত দেশের প্রথম বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন উৎস ও দাতা সংস্থা ডিয়াকোনিয়া।

বক্তারা বলেন, এই বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য নামমাত্র কিছু ঔষধ সেবা ছাড়া যথাযথ কোন চিকিৎসা ও নিরাময়ের জন্য ব্যবস্থা নেই। দুই কোটি মানুষকে অন্ধকারে রেখে দেশের উন্নয়ন কিভাবে সম্ভব? মানসিক সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তি এমনিতেই সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে তদুপরি মানসিক রোগ নির্ণয়ের জন্য কোনরকম সুযোগ সুবিধা নেই। ফলে মানুষের মধ্যে সহিংস মনোভাব, হতাশা, রাগ, ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সমাজে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে।

ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামে নির্বাহী প্রধান উৎপল বড়ুয়া বলেন, দেশের অনেক জাতীয় দিবস আছে, যা যথাযোগ্যভাবে পালন করা হয়। কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কোন জাতীয় দিবস নেই এটি হতাশাব্যঞ্জক। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য ইস্যুটি গুরুত্বসহকারে উপলব্ধি ও বাস্তবতার নিরিখে এবং মানসিক স্বাস্থ্য সর্ম্পকে সচেতনতা বৃদ্ধি, সেবার পরিধি বিস্তৃতি, নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে একটি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ঘোষণা সময়ের দাবি।

উল্লেখ্য, প্রয়াত মোহসিন সিদ্দিক ওরফে লুলু কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মানসিক সমস্যাগ্রস্থদের সংগঠিত করে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ‘মানসিক সমস্যাগ্রস্থ ব্যক্তিদের জাতীয় সম্মেলন’ আয়োজন করে মনোসামাজিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মানবাধিকার ও স্বাস্থ্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় রেখেছিলেন যুগান্তকারী ভূমিকা। তার সেই অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রয়াত মোহসিন সিদ্দিক ওরফে লুলুর মৃত্যুদিবস ২৩ জুলাই সরকারিভাবে ‘জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য দিবস’ পালনের জন্য জোর দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শরীফ শরীফ চৌহানের সভাপতিত্বে ও সদস্য মুহাম্মদ শাহ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে আরো বক্তব্য রাখেন সংশপ্তকের নির্বাহী প্রধান লিটন চৌধুরী, ঘাসফুলের সমন্বয়কারী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, নারী যোগাযোগ কেন্দ্রের আহ্বায়ক সালমা জাহান মিলি, উৎসের মনিটরিং অফিসার আবুল হাশেম খান, এলায়েন্স অব আরবান ডিপিওস ইন চিটাগাং-এর সহসভাপতি আলী আহমেদ, এডলোসেন্ট এন্ড ইয়ুথ ফোরামের সদস্য মো. নাসির।

এছাড়াও সংহতি জানিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন যুবমঞ্চ, এডলোসেন্ট এন্ড ইয়ুথ ফোরাম, থিয়েটার থেরাপি সেন্টার অব দি ডিজএ্যাবল্ড (টিটিসিডি), বাংলাদেশ থেরাপিউটিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট (বিটিটিআই)-এর প্রতিনিধিবৃন্দ।


এসআর/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!