২১ আগষ্ট গ্রেণেড হামলা মামলায় খালেদা জিয়াও আসামী হওয়া উচিত -ড. হাছান মাহমুদ

২১ আগষ্টের নারকীয় গ্রেণেড হামলা মামলায় শুধু তারেক রহমান নয়, খালেদা জিয়াও আসামী হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

Dr. Hasan Mahmud Pic
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ২১ আগস্ট গ্রেণেড হামলায় শহীদদের স্মরনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

 

হাছান মাহমুদ বলেন ২১ আগস্ট গ্রেণেড হামলা হয়েছিলো রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে। ওই সময়ে যারা সরকারে ছিলো। যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলো তাদের সকলকে বিচারের আওতায় আনা উচিত। ২১ আগস্ট গ্রেণেড হামলার প্রকৃত তদন্ত শুরু হয়েছিলো ২০০৯ সাল থেকে। এই তদন্তে ঘটনা পরস্পরায় খালেদা জিয়া’র পুত্র তারেক রহমানের নাম এসেছে। এখানে খালেদা জিয়ারও নাম আসা উচিত ছিলো।

 

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, হাওয়া ভবনে বসে গ্রেণেড হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিলো। জঙ্গিদের হাতে গ্রেণেড তুলে দিয়ে বলা হয়েছিলো শেখ হাসিনা, আওয়ামীলীগ ইসলামের শত্রু, তাই তাদের হত্যা করতে হবে। এই ভাবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে, আওয়ামীলীগকে নিশ্চিহ্ন করতে প্রকাশ্যে দিবালোকে ২১ আগস্ট গ্রেণেড হামলা চালিয়ে আওয়ামীগের ২২ জন নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিলো। গ্রেণেড হামলার পরদিন থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহন করেনি। গ্রেণেড হামলার দিন যেসব পুলিশ কর্মকর্তা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলো তাদের কাউকে সাসপেন্ড করা হয়নি। উল্টো তাদের পুরস্কৃত হরা হয়েছে। এ থেকে সহজেই বুঝা যায় রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই এই হামলা হয়েছিলো।

 

হাছান মাহমুদ বলেন, ২১ আগস্টের সঠিক ন্যায় বিচার না হলে দেশে কখনো ন্যায় প্রতিষ্ঠা হবে না। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ যখন স্থিতিশীলতা দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো তখন বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যা করা হয়। ৭১ এর পরাজিত শত্রুরাই প্রতিশোধ নিতে এই নির্মম হত্যাকান্ড ঘটায়। এই হত্যাকান্ডের ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্টের গ্রেণেড হামলার ঘটনা ঘটে। হাছান মাহমুদ বলেন এদেশে হত্যার রাজনীতিতে সব সময় লাভবান হয়েছে বিএনপি। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেছেন, খালেদা জিয়া দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।
৭১ সালের মতোই এখনও ইসলামের কথা বলে একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটনো হচ্ছে। কিন্তু ইসলামের কথা বলে যারা মানুষ হত্যা করে তারা মুলতঃ ইসলামের শত্রু। তারা এজিদের অনুসারী।

 

উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বখতেয়ার সাঈদ ইরানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়বের সঞ্চালনায় এই সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বদিউল আলম তালুকদার, যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জসিম উদ্দিন শাহ, উত্তর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল আলম, মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী দিলুয়ারা ইউসুপ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বাসন্তি প্রভা পালিত।

 

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন খান, কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য শেখ ফরিদ চৌধূরী, আওয়ামীলীগ নেতা মোহাম্মদ ইউনুছ, এমরুল করিম রাশেদ, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি বি কে চৌধুরী লিটন, কাউছার নুর, মোহাম্মদ ফারুক, মোঃ আলাউদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, শওকত হোসেন, শিবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হালিম, মিজানুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল হক বাদশা, আরাফাত হোসেন, মুবিনুল হক প্রমুখ।

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!