৭ হাজার ৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২১২ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায়।
এর মধ্যে একজন অকৃতকার্য শিক্ষার্থী পেয়েছেন জিপিএ-৫। এছাড়া ৯ জন শিক্ষার্থীর অর্জিত পয়েন্ট পরিবর্তন হয়েছে। তারাও পেয়েছে ২০২১ সালে।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশ করেছে।
জানা গেছে, এবারের ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণে অকৃতকার্য থেকে পাস করেছে ৩৩ জন। আবার অকৃতকার্য ঘোষিত এক শিক্ষার্থী পেয়েছে জিপিএ-৫। এছাড়া জিপিএ-৫ পেয়েছে আগের ফলাফলে কম পয়েন্ট পাওয়া ৯ শিক্ষার্থী।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, ‘গতবারের তুলনায় এবার পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন কম হওয়ায় ফলাফল পরিবর্তনে ব্যবধান দেখা গেছে। উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের জন্য ৭ হাজার ৬৯ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করে। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৭ হাজার ৮২৩টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণ করা হয়। এদের মধ্যে ফল পরিবর্তন হয়েছে ২১২ জনের। ২০২০ সালে ৬০৯ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। তবে অকৃতকার্য থেকে অকৃতকার্য রয়ে গেছে কিন্তু নম্বর বেড়েছে এমন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭২ জন।’
তিনি বলেন, ‘গতবার যেখানে এমন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১২ জন। একইসঙ্গে ফলাফলে সিজিপিএ পরিবর্তন হয়েছে ৯২ শিক্ষার্থীর। একইসঙ্গে পুনঃনিরীক্ষণের পর মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ জন। এই নিয়ে চট্টগ্রাম বোর্ডে জিপিএ-৫ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৮০১ জনে। পুনঃনিরীক্ষণের আগে জিপিএ-৫ ছিল ১২ হাজার ৭৯১ জন শিক্ষার্থীর।’
নারায়ণ চন্দ্র নাথ আরও বলেন, ‘উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণ শেষে ফল পরিবর্তন হয়েছে ২১২ জন পরীক্ষার্থীর আর পরিবর্তিত উত্তরপত্রের সংখ্যা ২১৪টি। উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণে মোট নম্বর বেড়েছে কিন্তু গ্রেড পয়েন্ট বাড়েনি এমন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০২ জন। আবার গ্রেড পয়েন্ট বেড়েছে এমন পরীক্ষার্থী ১১০ জন। গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু জিপিএ পরিবর্তন হয়নি এমন সংখ্যা ১৮ জনের।’
এএস/এমএফও