২০২৪ সালের মধ্যেই বে-টার্মিনালের কাজ শুরু হবে: নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

২০২৪ সালের মধ্যেই বে-টার্মিনালের কাজ শুরু হবে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে বে-টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি। নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিবসহ ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় চট্টগ্রাম বন্দরের হালিশহর এলাকায় বে-টার্মিনাল পরিদর্শন করেন।

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৪ সালের মধ্যেই বে-টার্মিনালের কাজ শুরু হবে। বেকআপ ইয়ার্ডসহ তিনটি টার্মিনাল করা হবে। এই টার্মিনালের দাফতরিক কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে। চট্টগ্রাম বন্দর প্রথম টার্মিনালের কাজ শুরু করবে। বাকি দুটি টার্মিনাল পিপিপি’র মাধ্যমে করা হবে। এর জন্য বিদেশী অনেক কোম্পানি কাজ করতে চায়।’

তিনি বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণ হয়েছে। মাটি ভরাট কাজ চলছে। পিপিপি’র মাধ্যমে যারা বিনিয়োগ করতে চায় তারা ফিল্ড ভিজিট করেছে। কোভিডের কারণে বিষয়টি পিছিয়ে গেছে। দেশের স্বার্থ রক্ষা করে যাদের সাথে সমঝোতা হবে তাদেরকে দুটি টার্মিনালের কাজ দেওয়া হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ভূমি অধিগ্রহণের টাকা বুঝিয়ে দিয়েছি জেলা প্রশাসনকে। কিন্তু মধ্যস্বত্তভোগীরা সুযোগ নিতে চায়। যারা জমির মালিক তারাই ভূমির টাকা পাবে। সরকার জমির মূল্যের তিনগুন টাকা দিচ্ছে। তাই ভূমির মালিকরা খুশি।’

বে-টার্মিনাল করার জন্য অর্থ সমস্যা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ফান্ডও গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রনালয়ের অধীনেই অর্থায়ন হবে। সুতরাং অর্থের সমস্যা হবে না।’

পিপিপি কর্তৃপক্ষের সিইও সুলতানা আফরোজ এ সময় বলেন, ‘পিএসএ সিঙ্গাপুর, ডিপি ওযার্ড, ডেনমার্ক, চায়না কোম্পানি যোগাযোগ করছে। তাড়াতাড়ি একটি সিদ্ধান্ত হবে। তাদেরকে আমরা কাজ দিব। এটি প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহের প্রকল্প। বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ প্রকল্প সরেজমিনে এসে দেখে গেলাম।’

চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘বে-টার্মিনাল বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। দ্রুততম সময়ে টার্মিনাল কাজ শুরু করবো আমরা। পিপিপি’র আদলে যারা কাজ করবে তারাও একই সাথে কাজ শুরু করবেন।’

এর আগে বে-টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য ৮০৪ একর সরকারি এবং ৬৩ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমি অধিগ্রহণ করে চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষ।

এটি বাস্তবাযন হলে ১২ মিটার ড্রাফট জাহাজ নোঙর করা সম্ভব হবে। জোয়ার ভাটার দিকে না তাকিয়েই একসাথে দুটি জাহাজ আসা যাওয়া করতে পারবে টার্মিনালে। বর্তমান বন্দরের জেটির থেকে সরাসরি একটি সড়কে সংযুক্ত থাকবে বে-টার্মিনাল।

এছাড়া এখানে ১৫ হাজার ট্রাক, লরি থাকার টার্মিনাল থাকবে। রেললাইন ও রোড কানেকটিভিটি থাকবে বে-টার্মিনালের সাথে।

এএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!