২০২২ সালের ছুটির সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করলো সরকার

২০২২ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। রোববার (৩১ অক্টোবর) এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হল।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে, ২০২২ সালে মোট ১৪ দিন সাধারণ ছুটি এবং নির্বাহী আদেশে আট দিন ছুটি থাকবে। এর মধ্যে তিন দিন করে মোট ছয় দিন পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে।

২০২২ সালের সাধারণ ছুটি

২১ ফেব্রুয়ারি : শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
১৭ মার্চ : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস
২৬ মার্চ : স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস
২৯ এপ্রিল : জুমাতুল বিদা
১ মে : মে দিবস
৩ মে : ঈদুল ফিতর
১৫ মে : বুদ্ধপূর্ণিমা (বৈশাখী পূর্ণিমা)
১০ জুলাই : ঈদুল আজহা
১৫ আগস্ট : জাতীয় শোক দিবস
১৮ আগস্ট : জন্মাষ্টমী
৫ অক্টোবর : দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী)
৯ অক্টোবর : ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)
১৬ ডিসেম্বর : বিজয় দিবস
২৫ ডিসেম্বর : যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন)।

২০২২ সালে নির্বাহী আদেশে ছুটি

১৯ মার্চ : শব-ই-বরাত
১৪ এপ্রিল : বাংলা নববর্ষ
২৯ এপ্রিল : শবেকদর
২ এবং ৪ মে : ঈদুল ফিতরের আগে ও পরের দুই দিন
৯ ও ১১ জুলাই : ঈদুল আজহার আগে ও পরের ২ দিন
৯ আগস্ট : আশুরার দিন

২০২২ সালের ঐচ্ছিক ছুটি (মুসলিম পর্ব)

১ মার্চ : শবে মেরাজ
৫ মে : ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিন
১২ জুলাই : ঈদুল আজহার তৃতীয় দিন
২১ সেপ্টেম্বর : আখেরি চাহার সোম্বা
৭ নভেম্বর : ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম

২০২২ সালের ঐচ্ছিক ছুটি (হিন্দু পর্ব)

৫ ফেব্রুয়ারি : সরস্বতী পূজা
১ মার্চ : শিবরাত্রি ব্রত
১৮ মার্চ : দোলযাত্রা
৩০ মার্চ : হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব
২৫ সেপ্টেম্বর : মহালয়া
৪ অক্টোবর : দুর্গাপূজা (নবমী)
৯ অক্টোবর : লক্ষ্মীপূজা
২৪ অক্টোবর : শ্যামাপূজা

২০২২ সালের ঐচ্ছিক ছুটি (খ্রিস্টান পর্ব)

১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ
২ মার্চ : ভস্ম বুধবার
১৪ এপ্রিল : পূণ্য বৃহস্পতিবার
১৫ এপ্রিল : পূণ্য শুক্রবার
১৬ এপ্রিল : পূণ্য শনিবার
১৭ এপ্রিল : ইস্টার সানডে
২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর : যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন)

২০২২ সালের ঐচ্ছিক ছুটি (বৌদ্ধ পর্ব)

১৬ ফেব্রুয়ারি : মাঘী পূর্ণিমা
১৩ এপ্রিল : চৈত্রসংক্রান্তি
১২ জুলাই : আষাঢ়ি পূর্ণিমা
৯ সেপ্টেম্বর : মধু পূর্ণিমা
৯ অক্টোবর : প্রবারণা পূর্ণিমা (আশ্বিনী পূর্ণিমা)।

অন্যান্য

পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির মধ্যে রয়েছে- ১২ ও ১৫ এপ্রিল বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর অনুরূপ সামাজিক উৎসব।
ছুটির আদেশে বলা হয়েছে, একজন কর্মচারীকে তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন নিতে হবে।

আদেশে আরও বলা হয়, সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে বা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার থেকে অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ষোষণা করবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!