২০২১ সালে ফ্রান্সে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৩ বিলিয়নে উন্নীত হবে

বিদ্যুৎ, রেল যোগাযোগ, পানি-শোধন, ইটিপি স্থাপন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং কার্বন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় ফরাসি বিনিয়োগ কামনা করেছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম। মিরসরাই ইকনোমিক জোনে শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে পণ্য রপ্তানি করে ফরাসি কোম্পানিগুলো অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেছেন মাহবুবুল আলম।

আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এলাকার চেম্বার কার্যালয়ে ফরাসি রাষ্ট্রদূত জিয়ান মেরিন সূহের সাথে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকালে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।

এ সময় মাহবুবুল আলম আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১, ইস্টার্ন রিফাইনারি ইউনিট-২ ও বাংলাদেশের অনেক মেগা প্রজেক্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ফরাসি কোম্পানিগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ফ্রান্স আমাদের রপ্তানির চতুর্থ বৃহত্তম গন্তব্য।’

বর্তমানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউরো উল্লেখ করে ২০২১ সালের মধ্যে তা ৩ বিলিয়নে উন্নীত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন চেম্বার সভাপতি।

মত বিনিময়কালে ফরাসী রাষ্ট্রদূত জিয়ান মেরিন সূহ বলেন, ‘প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে; যা এশিয়ার অন্যান্য দেশের জন্য একটি অনন্য উদাহরণ।’

ফ্রান্সের বিনিয়োগকারীদেরকে এদেশের ইকনোমিক জোনে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে অবহিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অক্টোবরের শেষ দিকে ফ্রান্স সফর করবেন বলে জানান রাষ্ট্রদূত।

বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প, টেকসই জ্বালানি, পানি, স্যানিটেশন, মৎস্য আহরণ ও সামুদ্রিক অর্থনীতিতে ফ্রান্স ডেভেলাপমেন্ট এজেন্সি প্রায় অর্ধ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করেছে বলে তিনি জানান।

এ সময় রাষ্ট্রদূতের সহধর্মিনী মেরি কেরোলীন সূহ সেনলিস, অ্যালিয়ঁস ফ্রঁসেইজ চট্টগ্রামের পরিচালক ড. সেলভাম তোরেজ ও উপ-পরিচালক ড. গুরুপদ চক্রবর্তী, চেম্বার পরিচালক সৈয়দ জামাল আহমেদ, মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), অঞ্জন শেখর দাশ ও তাজমীম মোস্তফা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এমএ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!