১৯ বছর পর কিশোরীর ধর্ষক পেল যাবজ্জীবন

অপহরণ করে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল এখন থেকে ১৯ বছর আগে— ২০০১ সালে। সেই ঘটনায় দায়ের করা রায় এলো মামলায় ১৯ বছর পর। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন’ সংশোধনী অধ্যাদেশে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের দিনেই এই রায় এলো কক্সবাজারে।

২০০১ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে ১৪ বছরের কিশোরীটিকে অপহরণের পর ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় আটজনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করা হয়। ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় দেন আদালত।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ নুরুল হুদাকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশ পেয়ে একই বছরের ২৫ এপ্রিল অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করে কক্সবাজার মডেল থানা। এসআই সোলাইমান চৌধুরী মামলাটি তদন্ত করে ২০০১ সালের ১৭ জুলাই আদালতে চার্জশিট দেন। আদালত সেটি আমলে নিয়ে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে দেওয়া রায়ে প্রধান আসামি নুরুল হুদাকে (৪২) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-১। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। অন্যদিকে অপর সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-১-এর বিচারক মোসলেহ উদ্দিন রায়টি ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া নুরুল হুদা কক্সবাজার সদর উপজেলার মধ্যম নাপিতখালী এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!