১৬ শর্তে ৫ মাস পর খুললো চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলো

টানা পাঁচ মাস পর অবশেষে আজ শনিবার (২২ আগস্ট) থেকে খুলছে চট্টগ্রাম শহরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোর দুয়ার। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ করে দেওয়া চট্টগ্রাম শহরের বিনোদন কেন্দ্রগুলো পাঁচ মাস পর খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

একথা নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ ক্রমাগতভাবে কমতির দিকে আছে। এজন্য ১৬টি শর্তে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোর ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছি। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দর্শনার্থীদের বিনোদন কেন্দ্রে যেতে হবে।’

প্রসঙ্গত, ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিন ব্যক্তির শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় সরকার ১৬ মার্চ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। ছুটি পেয়ে ১৭ মার্চ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে জনসাধারণ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা সমালোচনা শুরু হয়। এর পরদিন ১৮ মার্চ চট্টগ্রাম নগর পুলিশ, জেলা প্রশাসন যৌথ সিদ্ধান্তে নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, সিআরবি শিরিষতলা, ডিসিহিল, চিড়িয়াখানা, ফয়’স লেক, কর্ণফুলী শিশুপার্ক, আগ্রাবাদ জাম্বুরি পার্ক, চান্দগাঁও স্বাধীনতা কমপ্লেক্সসহ সব বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়।

পাশাপাশি আনোয়ারার পারকি সৈকত, রাঙ্গুনিয়ার শেখ রাসেল এভিয়েরি পার্ক, সীতাকুণ্ড ও বাঁশখালীর ইকো পার্ক, মিরসরাইয়ের মহামায়া লেকসহ সব বিনোদন কেন্দ্রই লকডাউনের আওতায় আনা হয়।

শুধু বিনোদন কেন্দ্রগুলোর ওপরই নিষেধাজ্ঞা নয়, একে একে বন্ধ করা হয় নগরীর রেস্টুরেন্ট, আবাসিক হোটেল, ক্লাব এবং কমিউনিটি সেন্টারগুলোও। দেশ ও জাতির স্বার্থে সেই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়। তখন থেকেই সামাজিক অনুষ্ঠানে লোকসমাগমে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এখন পর্যন্ত।

ঈদুল ফিতরের আগে কঠিন শর্তে নগরীর শপিংমল ও মার্কেটগুলো চালুর অনুমতি প্রশাসন দিলেও ব্যবসায়ীরা পিছু হটেন। এরপর ঈদুল আযহার আগে প্রথমে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা এবং পরে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। মার্কেট চালু হওয়ায় শর্তসাপেক্ষে সামাজিক অনুষ্ঠানের অনুমতিও দেওয়ার বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে বলে প্রশাসনের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!