১৬ টাকা ভ্যাট দিয়ে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার, ৭৭ টাকার পপকর্নেও নগদে মিলল ১০ হাজার

চট্টগ্রামে বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কেনাকাটার পর ভ্যাট দিয়ে বিভিন্ন অংকের নগদ টাকা পুরস্কার পেলেন ১৪ জন। এর মধ্যে গত নভেম্বরে নগরীর মুরাদপুরের আল মক্কা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে মাত্র ১৬ টাকা ভ্যাট দিয়ে দুজন গ্রাহক ২০ হাজার টাকা পুরস্কার পেয়েছেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই পুরস্কার চালুর পর এবারই চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ সংখ্যক বিজয়ী পুরস্কারের জন্য আবেদন করেছেন। ক্রেতাদের উৎসাহিত করতে প্রতি মাসের ৫ তারিখে এনবিআর একটি বিশেষ লটারির আয়োজন করে থাকে। এ লটারিতে ১০১টি পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইসের (ইএফডি) চালান হচ্ছে এই লটারির টিকেট।

১৬ টাকা ভ্যাট দিয়ে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার, ৭৭ টাকার পপকর্নেও নগদে মিলল ১০ হাজার 1

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের আজিজা খানম অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের চেক তুলে দেন কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন।

এর মধ্যে চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে ১০ হাজার টাকা করে পুরস্কার জিতেছেন সাতকানিয়ার এনামুল হক মানিক, হাটহাজারীর ইয়াছিন আরাফাত, মিরসরাইর মুহাম্মদ নাজমুল হাসান, আগ্রাবাদের মো. আলমগীর, হালিশহরের মো. নিজাম এবং নওগাঁর মো. সুমন আলী।

১০ হাজার টাকা পুরস্কার পাওয়া এনামুল হক মানিক মুরাদপুরের আল মক্কা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে ১৬০ টাকায় ভাত-মুরগির মাংস ও ডাল খেয়ে ভ্যাট দিয়েছিলেন ৮ টাকা। ইয়াছিন আরাফাত একই হোটেলে ১৬৫ টাকার বিরিয়ানি ও চা খেয়ে ৮ টাকা ২৫ পয়সা ভ্যাট দেন। মুহাম্মদ নাজমুল হাসান লালখান বাজারে বিবিআর কুটুম্ববাড়ি রেস্তোঁরায় ২২৬ টাকা ২৬ পয়সা দিয়ে এক কেজি দই কিনে ২২ টাকা ৬৩ পয়সা ভ্যাট দেন।

অন্যদিকে নওগাঁর বাসিন্দা মো. সুমন আলী চান্দগাঁওয়ের হোটেল আল মক্কায় ১৫০ টাকার পুডিং কিনে ভ্যাট দিয়েছিলেন সাড়ে ৭ টাকা। মো. আলমগীর সিপিডিএল চৌধুরীহাটের বো বো ওয়ার্ল্ড থেকে ৭৭ টাকার পপকর্ন কিনে ৭ টাকা ভ্যাট দেন। অন্যদিকে মো. নিজাম কক্সবাজারের কলাতলী এলাকার ধানসিঁড়ি রেস্তোঁরায় এক হাজার ৯০ টাকার বিফ বিরিয়ানি কিনে ১০৯ টাকা ভ্যাট দিয়েছিলেন।

ভোক্তা বা ক্রেতার দেয়া ভ্যাট যাতে সরকারি কোষাগারে জমা নিশ্চিত হয়, সে লক্ষ্যে বিভিন্ন দোকানে ইএফডি স্থাপন করা হয়েছে এনবিআরের পক্ষ থেকে। প্রতিটি কেনাকাটার পর ইএফডি মেশিন হতে চালান গ্রহণ হলে ক্রেতার পরিশোধিত ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা নিশ্চিত হবে।

চট্টগ্রামে বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এ পর্যন্ত ৫২০টি ইএফডি মেশিন বসানো হয়েছে। শীঘ্রই আরও মেশিন স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রতিটি ইএফডি মেশিন এনবিআরের কেন্দ্রীয় সার্ভারের সাথে অনলাইনে সংযুক্ত রয়েছে। এর ফলে ক্রেতাদের দেওয়া ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান নিশ্চিত হচ্ছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!