১৫ বছর আইনি লড়াইয়ের পর চালু হল রাঙামাটি শিশুপার্ক

দীর্ঘ ১৫ বছর আইনি লড়াই শেষে রাঙামাটির একমাত্র শিশু পার্কটি চালু করা হয়েছে। এটি দীর্ঘদিন অবহেলা আর অযত্নে পড়ে ছিল। রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় বুধবার (৬ নভেম্বর) শহরের রিজার্ভবাজার এলাকায় অবস্থিত শিশু পার্কটি উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম শফি কামাল, পার্ক ব্যবস্থাপনায় কমিটির সদস্য প্রবীণ সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে ও রাঙামাটি পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মো. কাজী নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

Rangamati-2

উদ্বোধনকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন, রাঙামাটি শিশু পার্কের উন্নয়নে আরও ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে। যেহেতু এটি শহরের একমাত্র শিশু পার্ক এটিকে কিভাবে আরও সুন্দর করা যায় সেজন্য উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় আমরা কাজটি শুরু করেছি। এখানে এখনো যেটুকু জয়গা বেদখল আছে সেগুলোও দখলমুক্ত করে আরো দৃষ্টি নন্দন করা হবে।

Rangamati-3

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে রাঙামাটি পৌরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান এই শিশু পার্কের জায়গায় কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ কাজ শুরু করলে আদালতে মামলা করেন স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন গ্লোবাল ভিলেজ। পরে দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১৪ সালে নির্মাণাধীন কমিউনিটি সেন্টারটি ভেঙে ফেলা হয়। এর ৫ বছর পর আবারো পার্কটির বুধবারের উদ্বোধনের মাধ্যমে পুনরায় চালু হয়।

পুনরায় শিশুপার্কটি চালু হওয়ায় পরিবেশবাদী সংগঠন গ্লোবাল ভিলেজের নির্বাহী পরিচালক ফজলে এলাহীর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ পনের বছর পর শিশু পার্কটি পুনরায় চালু করা হল। এটি রাঙামাটিরবাসীর জন্য অত্যন্ত খুশির খবর। আমরা বলতে চাই, শিশু পার্কের এখনও কিছু অংশ স্থানীয়দের বেদখলে রয়েছে। আমরা আশাবাদী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব বেদখল হওয়া জায়গা উদ্ধার করে এবং পার্কে প্রযোজনীয় সরঞ্জাম এনে এটিকে পূর্ণরূপ দিবে।’

পিআর/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!