১৫ দিন আগে মা-বাবাকে খুনের পরিকল্পনা করে সাদ্দাম, বায়েজিদ থেকে কিনে ছুরি

বড় ভাইকে আসামি করে ছোট বোনের মামলা

মা-বাবা ও ছোট ভাইকে হত্যার ঘটনায় একমাত্র আসামি নিহত দম্পতির বড় ছেলে সাদেক হোসেন প্রকাশ সাদ্দামকে (৩০) আদালতে হাজির করেছে পুলিশ। এর আগে বৃহষ্পতিবার রাতে সাদ্দামকে একমাত্র আসামি করে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে তারই ছোট বোন বিবি জুলেখা।

জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুর হোসেন মামুন জানান, আলোচিত ট্রিপল মার্ডারের ঘাতক সাদেক হোসেন সাদ্দাম বাবা, মা ও ভাইকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাদেক হোসেন সাদ্দাম জানিয়েছে, এই খুনের পরিকল্পনা ১৫দিন আগে নিয়েছিলো। পরিকল্পনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম শহরের বায়েজিদ এলাকা থেকে বুধবার সকালে একটি ছুরি কিনে বাড়িতে আসে।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাত ৪টার দিকে সবাই যখন গভীর ঘুমে, তখনই মা-বাবার কক্ষে ঢোকে সাদেক হোসেন। ঘুমন্ত অবস্থায় বাবাকে ধারালো ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে সে। এরপর মাকে। এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মা-বাবাকে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে।

মা-বাবার চিৎকার শুনে পাশের কক্ষে ঘুমে থাকা মেঝ ভাই আহমদ হোসেন ছুটে আসে। তখন আহমদ হোসেনকে ঝাপটে ধরে তার গলায় ছুরি চালায় সাদ্দাম। তিনজন সেখানেই প্রাণ হারান।

নিহত মো. মোস্তফার ছোট ছেলে আলতাফ হোসনে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বলেন, বাবা, মা আর ভাইয়ের ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সকাল থেকে অপেক্ষা করছি। ময়না তদন্ত শেষে আজ রাত (শুক্রবার) বাড়িতে নিয়ে দাফন করবো। গ্রামে কবর খুঁড়ে রাখা আছে। তিনি এ ঘটনায় ঘাতক বড় ভাই সাদেক হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

এদিকে শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বাদ জুমা উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ঐতিহাসিক ছুটি খাঁ জামে মসজিদের সামনে মো. মোস্তফা তার স্ত্রী জোৎস্না আরা এবং মেঝ ছেলে আহমদ হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বড় ছেলে সাদেক হোসেন সাদ্দামের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে তার আত্মীয় স্বজন, বাজার ব্যবসায়ী এবং এলাকাবাসী।

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!