১৪ বছর ধরে ফায়ার সেফটি ছাড়া ব্যবসা, কালুরঘাটের সাবের ডিপোকে জরিমানা ২ লাখ

অবৈধভাবে ২০০ ড্রাম ডিজেল মজুদ

টিম্বার কোম্পানির লাইসেন্সে ডিপো ব্যবসা করায় জরিমানা গুনেছে চট্টগ্রাম নগরীর কালুরঘাটের হাজী সাবের কন্টেইনার ডিপো। প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত।

জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্স ও ফায়ার লাইসেন্সের নামের সঙ্গে ব্যবসার ধরনের কোনো মিল নেই। টিম্বার কোম্পানি হিসাবে লাইসেন্স থাকলেও সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, এটি একটি কন্টেইনার ডিপো।

ফায়ারের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২১ সালের ২১ জুন। গত বছরের ৭ জুন ডিপো কর্তৃপক্ষ ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ দুই বছরের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কিন্তু পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা এবং সেফটি প্ল্যান না থাকায় ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ লাইসেন্সের নবায়ন স্থগিত রাখে।

অভিযানের সময় দেখা গেছে, ডিপোর ভেতরে একটি খালি কন্টেইনারে অবৈধভাবে প্রায় ২০০ ড্রাম ডিজেল মজুদ করা হয়েছে। ড্রামগুলোর বেশ কয়েকটির মুখ খোলা এবং পাশেই পড়ে রয়েছে প্রচুর সিগারেটের ছাই ও অবশিষ্টাংশ।

ডিপোতে নেই পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা। গত ১৪ বছর ডিপো চলালেও ফায়ার সেফটি প্ল্যান অনুমোদনের জন্য তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ২০ একরের এই ডিপোতে প্রায় ১৫০০ কন্টেইনার থাকার কথা থাকলেও ছিল মাত্র ৩৫টি। যার বেশিরভাগই অকেজো। ডিপোতে ১০০ জন বেতনভুক্ত কর্মচারী থাকলেও ফায়ারের প্রশিক্ষণ রয়েছে মাত্র চারজনের। যদিও তাদের কেউই ফায়ার এক্সটিংগুইসার ব্যবহার করতে জানেন না।

ডিপোতে ছিল না কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর থেকে পাশ করা কোনো লে আউট প্ল্যান।

এই সকল অনিয়মের অভিযোগে ডিপোর এজিএম মো. এনামুল হককে ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং আগামী ১ মাসের মধ্যে যাবতীয় ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধনের আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, ‘১৪ বছর ধরে ডিপো পরিচালনা করলেও তাদের ছিল না কোনো ফায়ার সেফটি প্ল্যান। এছাড়াও অবৈধভাবে মজুদ রাখা হয়েছে প্রায় ২০০ ড্রাম ডিজেল। হাজী সাবের টিম্বার কোম্পানি লিমিটেডে ব্যাপক অনিয়মের জন্য তাদের জরিমানা করা হয়।’

আরএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!