১৩ রকম পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামে ‘শীতের ফেরিওয়ালা’, মাসজুড়ে মিলবে ফ্রিতে

ভ্যানগাড়ির চারপাশে কাঠ দিয়ে বানানো হয়েছে কাপড় রাখার স্ট্যান্ড। সেই স্ট্যান্ডে ঝুলানো নানান ধরনের শীতবস্ত্র। সুয়েটার, শাল, হাত মোজা, টুপি থেকে শুরু করে আছে লোশন, লিপজেলের মতো শীতসামগ্রী। উদম গায়ে ও ছেঁড়া কাপড়ের বেশ কিছু পথশিশুর কারও হাতে সুয়েটার, আবার কারও হাতে কানটুপি।

১৩ রকম পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামে ‘শীতের ফেরিওয়ালা’, মাসজুড়ে মিলবে ফ্রিতে 1

কত দামে কানটুপি কিনলে—জানতে চাওয়া হয় পথশিশু ৭ বছরের হালিমার কাছে। তার সরল উত্তর, ‘ওই ভাইডা দিছে, টেকা লাগে নাই’।

ভ্যানগাড়ির কাছে গিয়ে দেখা যায় শীতবস্ত্রের দোকান খুলে বসেছেন তপু নামের এক যুবক। তার পুরো নাম তোসোদ্দেক নূর তপু, তিনি নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক। হালিমার মতো পথশিশুদের জন্য ভ্যানগাড়িতে তিনি খুলেছেন ‘শীতের ফেরিওয়ালা’ নামের ভাসমান দোকানটি। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এসব শীতের সামগ্রী নিয়ে শীতার্ত মানুষের জন্য ফেরি করে বেড়াবেন তিনি। শীতার্ত অসহায়রা এসব পণ্য পাবেন একদম বিনামূল্যে।

রোববার (৮ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরীর মোহাম্মদপুর এলাকায় কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে ৩০০ জন সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে কম্বল, শাল, মাফলার, সুয়েটার, জ্যাকেট, হাত-পায়ের মোজা, টুপি, ভেসলিন, লোশনসহ বিভিন্ন ধরনের শীতে ব্যবহার্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এমন কর্মসূচি মাসব্যাপী চলবে জানান তপু।

করোনার সময় তপুর বিভিন্ন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ চট্টগ্রামে বেশ আলোচিত ও প্রশংসিত হয়। সেবার তিনি ‘ফ্রি সবজি বাজার’ এবং ১ টাকায় মাস্ক কিনলে ৫ কেজি সবজি বিনামূল্যে দিয়েছেন ক্রেতাদের। রমজান মাসেও ভাসমান মানুষদের জন্য সাইকেল চালিয়ে বিলিয়েছিলেন সেহেরি।

এই বিষয়ে তোসাদ্দেক নূর চৌধুরী তপু চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী বিপদকালীন সময়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। এখন শীতের প্রকোপে পথের ভাসমান মানুষরা খুব কষ্ট পাচ্ছে। তাই নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী বিভিন্ন গরম কাপড় ও শীতের কসমেটিক্স নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি।’

যে এলাকাগুলোতে নিম্নশ্রেণির মানুষের বসবাস বেশি, সেসব জায়গায় ফেরি করতে চান তপু।

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের দিকনির্দেশনায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তপু।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!