১২ মিনিটের ফোনালাপে হাসিনা-মোদি, করোনায় একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ-ভারতের একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার বিকালে (২৯ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফোন করলে তারা এ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এহসানুল করিম স্বাক্ষরিত ও উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরিস্থিতি মোকাবিলায় দুই নেতাই খাদ্য উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

এদিকে বাংলাদেশের এই প্রেস বিজ্ঞপ্তির পর টুইট বার্তায় শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনালাপের কথা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ওই টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা জানাতে তার সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা কোভিড-১৯ পরিস্থিতি এবং তা মোকাবিলায় ভারত ও বাংলাদেশের সহায়তার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সর্বোচ্চ অধিকার পাবে।’

এদিকে বাসস জানিয়েছে, ১২ মিনিটের আলাপে উভয় নেতা করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবেলায় দুই দেশের সরকারের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার আশঙ্কা এই পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হতে পারে। ‘কাজেই পরিস্থিতি মোকাবেলায় এই অঞ্চলের সব দেশের একযোগে কাজ করতে হবে,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

উভয় প্রধানমন্ত্রীই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় উভয় দেশের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। এছাড়া দুই নেতাই করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষিতে গত মাসে অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্সে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে গৃহীত সার্কভুক্ত দেশগুলোর উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে সম্মত হন।

শেখ হাসিনা এ সময় কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ওষুধ এবং অন্যান্য মেডিক্যাল সামগ্রী পাঠানোয় নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

এখন পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ভারতে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ৭৩৭ জন শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে এক হাজার আট জনের। আর বাংলাদেশে করোনা সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা সাত হাজার ছাড়িয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ১৬৩ জনের।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!