১২ বছর ধরে ভাঙাচোরা সড়কে ১৫ হাজার মানুষের কষ্ট

কক্সবাজারের উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের হাজিরপাড়া-দুছড়ি গ্রামীণ সংযোগ সড়কটির দৈর্ঘ্য ৫ কিলোমিটার। প্রায় ১৫ হাজার মানুষের চলাচলের এই সড়কটি দীর্ঘ ১২ বছর ধরে সংস্কার হচ্ছে না। ফলে পুরো সড়কে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্ত। সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়েছে সড়কটি। ভাঙা সড়কে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের অভিযোগ প্রতিনিয়ত সড়কটি দিয়ে শতশত ভারী যানবাহন চলাচল করায় এটি ক্ষত-বিক্ষত হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারী, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের।

শনিবার (২২ আগস্ট) সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হাজিরপাড়া, হরিণমারা, খয়রাতি, মালিয়ারকূল ও বৃহত্তর দুছড়ি এলাকার জনগুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ সংযোগ সড়কটি একযুগের বেশি সময় ধরে সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেইসঙ্গে টানা ৫ দিনের ভারী বর্ষণে সড়কের বিভিন্নস্থানে পানি জমে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের পানিতে সড়কের অনেকাংশে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

রমজান আলী নামে একব্যক্তি বলেন, সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত অসংখ্য কাঠ বোঝাই ও অবৈধ বালি ভর্তি ডাম্পার চলাচল করায় ক্ষত-বিক্ষত হয়ে পড়েছে এ গ্রামীণ সড়কটি।

দুছড়ি পাহাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউর রহমান বলেন, উখিয়া সদর স্টেশন থেকে দুছড়ি এলাকার দুরত্ব প্রায় ৫ কিলোমিটার। সাধারণত শুষ্ক মৌসুমে এ যাতায়াত পথ দিয়ে গাড়িযোগে স্কুলে পৌঁছতে সময় লাগতো ১৫-২০ মিনিট। বর্তমানে সড়কটি যান চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় সময় লাগে দেড় থেকে দুই ঘন্টা। তিনি দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান।

দুছড়ি এলাকার নুর মোহাম্মদ বলেন, গত ১০ বছর পূর্বে সড়কটি সংস্কার জন্য বক্স করা হলেও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার উধাও হয়ে যায়। বর্তমানে সেই বক্সগুলো অনেক বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে পুকুরে পরিণত হয়েছে।

ইউপি সদস্য মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে সড়কটির এ করুন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে সড়কটির কার্পেটিংয়ের টেন্ডার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি। এ সময় উক্ত সড়কে অবৈধ ভারী যান চলাচলের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে অবগত নয় বলে জানান।

এ প্রসঙ্গে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাজিরপাড়া থেকে দুছড়ি পর্যন্ত সড়কটি বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে কার্পেটংয়ের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি পাস হলে আশাকরি অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হবে।

উখিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিমুল এহসান খান বলেন, রাজাপালং ইউনিয়নের দুছড়ি এলাকায় একটি বালি মহাল ইজারা দেওয়া হয়েছে। এই বালি মহাল ব্যতিত অন্যকোনো স্থান থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে সড়কের ক্ষতি করে থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!