১১ সিদ্ধান্ত এলো চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস ঠেকাতে

চট্টগ্রাম মহানগরীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার প্রতিরোধ এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের ব্যবস্থাপনার বিষয়ে শতভাগ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। রোববার (২৯ মার্চ) চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১১টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে সভায় করোনা ১১টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এগুলো হচ্ছে—
১. সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদারকি।
২. কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সেই রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া।
৩. সিএমপির হটলাইনে (০১৪০০৪০০৪০০) ফোন করলে মহানগরে কর্মরত ডাক্তারদেরকে যাতায়াতের সুবিধা দেওয়া।
৪. সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা ও সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক সমন্বিতভাবে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানো।
৫. করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কোন ব্যক্তি মারা গেলে তার দাফন/সৎকারের জন্য নগরীর একটি কবরস্থান/সৎকারের স্থানকে নির্দিষ্ট করা ও এ সংক্রান্ত টিম গঠন করা।
৬. আইসিইউ সুবিধা সম্বলিত একটি হাসপাতালকে ডেডিকেটেড করা।
৭. নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও ওষুধের মজুদ ও মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্তে নজরদারি বৃদ্ধি করা।
৮. সিভিল সার্জন কর্তৃক টেলিমেডিসিন সুবিধার জন্য দক্ষ ডাক্তারদের নিয়ে একটি টিম গঠন করা।
৯. আইসিইউতে দায়িত্ব পালন করার জন্য ডাক্তার ও নার্সের সমন্বয়ে টিম গঠন এবং কর্মরত ডাক্তারদের থাকা-খাওয়ার ব্যাপারে আইসোলেটেড হোমের সুব্যবস্থা করা।
১০. করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য নিয়োজিত ডাক্তারদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পিপিইসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সরবরাহ করাসহ তাদেরকে মানসিকভাবে উৎসাহিত করতে সকলের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা।
১১. জনগণের সুবিধার জন্য দোকানে আড্ডা না দিয়ে খাবার কিনে বাসায় নিয়ে যাবার উদ্দেশ্যে খাবার দোকান ও রেস্টুরেন্ট খোলা রাখা ইত্যাদি।

সভায় সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং, হোম কোয়ারেন্টিন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন, আইসোলেশন, লকডাউন সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়ন, আক্রান্ত ব্যক্তির ইভাকুয়েশন, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে গৃহীত কার্যক্রম, চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী, পুলিশ ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের করোনা ভাইরাস সুরক্ষার জন্য করণীয়, টেলিমেডিসিন, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, থানা পুলিশ ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক এলাকাভিত্তিক করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিদের সন্ধান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থা, ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক ডিসইনফেকশন কার্যক্রম, জরুরি সেবা-৯৯৯, ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

নগর পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম, এসএম মোস্তাক আহমেদ খান, শ্যামল কুমার নাথ, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী। এছাড়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও জেলা প্রশাসন এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!