১১শ কনটেনার নিয়ে নোঙ্গর করেছে চীন থেকে আসা ‘কেপ ওরিয়েন্ট’

চীন থেকে আসা জাহাজ কেপ ওরিয়েন্ট নোঙ্গর করেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। কিন্তু এ মুহূর্তে ওই জাহাজের কোন নাবিক বা ক্রুকে নামতে দেওয়া হচ্ছে না বন্দরে। ওই জাহাজ সম্পূর্ণ কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। আগামী ৭ মার্চ নিবিড় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বার্থিং হবে ওই জাহাজের। এতে ১১শত কনটেইনার পরিবহন করা এ জাহাজে ২০ জন ক্রু রয়েছেন।

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘চীন থেকে শিপমেন্ট হওয়ার পর ১৪ দিন পার করতেই হবে জাহাজগুলোকে। কোন জাহাজ ১৪দিন আগে চট্টগ্রামে পৌঁছলে ওই জাহাজকে ১৪দিন পার হওয়া পর্যন্ত বহির্নোঙ্গরে অপেক্ষা করতে হবে। তারপরেই বন্দরের জেটিতে আসার অনুমতি পাবে জাহাজ।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের প্রভাবে বেশ কয়েক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর চীনের সমুদ্রবন্দরগুলো চালু হয়েছে। এরপর সাংহাই ছেড়ে আসা একটি জাহাজ পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। মঙ্গলবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কনটেনারবাহী জাহাজ ‘কেপ ওরিয়েন্ট, বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে ভেড়ানো হয়।

সূত্র জানায়, ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে জাহাজটি চীনের সাংহাই থেকে রওনা দেয়। ২৯ ফেব্রুয়ারি জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে (বঙ্গোপসাগরে) পৌঁছে। এরপর জাহাজটি স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষ টিম পরিদর্শন করে। এ সময় নাবিকদের করোনাভাইরাসের লক্ষণ আছে কিনা পরীক্ষা করা হয়। সর্বশেষ জাহাজটি বন্দরের মূল জেটিতে আনা হয়। ১৮৫ মিটার লম্বা, ৮ দশমিক ৩৫ মিটার ড্রাফটের এ জাহাজে ১ হাজার ১০০ টিইইউস (২০ ফুট দীর্ঘ) কনটেইনারে তৈরি পোশাক শিল্পের বিভিন্ন ধরনের কাপড়, ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ও রাসায়নিক পণ্য রয়েছে। কিন্তু জাহাজটি বার্থিং করা হবে ৭ মার্চ শনিবার।

চট্টগ্রাম বন্দরের হারবার কর্মকর্তা জানান, জাহাজের ২০জন ক্রু ইউক্রেন ও ফিলিপাইনের নাগরিক। জাহাজটির শিপিং এজেন্ট হুন্দাই মার্চেন্ট মেরিন কোম্পানি। এ প্রতিষ্ঠানের ৫টি কনটেইনার জাহাজ চীনের সাংহাই ও নিমবো বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য পরিবহন করে। ইতিমধ্যে তিনটি জাহাজই পণ্য নিয়ে রওয়ানা দিয়েছে। ‘কেপ ওরিয়েন্ট’ সেগুলোর একটি।

চট্টগ্রাম বন্দরে কোয়ারেন্টাইনের দায়িত্বরত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নুরুল আবছার বলেন, কোনো জাহাজ চীনের সমুদ্রবন্দর হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে এলেই আমরা নাবিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছি। প্রয়োজনে বহির্নোঙরে গিয়ে পরীক্ষা করছি। এরপর ক্লিয়ারেন্স দিলেই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পাইলট গিয়ে জাহাজটি মূল জেটিতে আনেন।’

এএস/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!