১০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলা তুলে নিতে ব্যবসায়ীকে ‘হুমকি’

চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানাধীন সাগরিকা এলাকায় থাকার সুবাদে জনৈক ইকবালের সাথে স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ী নূরে আলমের পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে সম্পর্ক গভীর হলে নূরে আলম ইকবালকে ব্যবসার প্রস্তাব দেন। দুজনের সম্মতিতে নূরে আলমকে ব্যবসার জন্য ১০ লাখ টাকা দেন ইকবাল।

কিন্তু টাকা হাতে পাওয়ার পরপরই উল্টে যান আলম। প্রথমে ব্যবসা শুরু করতে গড়িমসি করেন। তারপর একের পর এক বাহানায় সে টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করেন।

ঘটনা আঁচ করতে পেরে ইকবাল টাকা ফেরত চাইলে শুরু হয় হুমকি-ধমকি। টাকা না দেওয়ার জন্য করতে থাকে নানান বাহানা। পরে স্থানীয় লোকজন সালিশ করে টাকা ফেরত দিতে বললে আলম ২০২০ সালের ১২ আগস্ট ৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন ইকবালকে। কিন্তু নির্দিষ্ট তারিখে (২৯ অক্টোবর ২০২০) ব্যাংকে গিয়ে ওই চেক জমা দিলে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকায় ব্যাংক ওই চেক ডিজঅনার করে।

টাকা না পেয়ে ইকবাল ২১ নভেম্বর আলমকে উকিল নোটিশ প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে ১৫ ডিসেম্বর ইকবাল চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। কিন্তু খবর পেয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থানায় পৌঁছানোর পূর্বেই ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন নূরে আলম।

এদিকে জামিন নিয়ে এসেই মামলা তুলে নিতে নুরে আলম ইকবালকে চাপ প্রয়োগ ও বাসায় গিয়ে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইকবাল। জানতে চাইলে বিবাদী নুরে আলম বলেন, ‘এটি একটি মিথ্যা মামলা। আমি আইনগতভাবে এ বিষয়টি মোকাবেলা করবো।’

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!