১০ বছর পর আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথে দেশীয় কনটেইনার জাহাজ ‘সারেরা’

দশ বছর পর তেরশ’ কনটেইনার নিয়ে আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথে যাত্রা করছে দেশের পতাকাবাহী কন্টেইনার জাহাজ ‘সারেরা’।

মঙ্গলবার (২৩ জুন) বেলা ১১টায় যাত্রা শুরু করে জাহাজটি। এটি সিঙ্গাপুরের (পিএসএ) বন্দরে গিয়ে প্রথম নোঙ্গর করবে। এরপর যাবে মালেশিয়াতে।

জানা গেছে, এর আগে বেসরকারি খাতে দুটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান এইচআরসি শিপিং কোম্পানি ও কিউসি কনটেইনার লাইন বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজে কনটেইনার পরিবহন করত। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সালের মধ্যে এই ব্যবসায় যুক্ত হয় প্রতিষ্ঠান দুটি। এইচআরসির হাতে ১০টি ও কিউসির হাতে ৭টি জাহাজের মালিকানা ছিল। ২০০৭ সালে কিউসি ও ২০১০ সালে এইচআরসি এ ব্যবসা থেকে পুরোপুরি সরে আসে।

দশ বছর পর আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথে পুনরায় যাত্রা শুরু হচ্ছে বাংলাদেশি মালিকানাধীন কনটেইনারবাহী জাহাজের। লাল সবুজের পাতাকা নিয়ে প্রায় ১৮৫ মিটার দীর্ঘ জাহাজ সারেরা চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল থেকে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

চট্টগ্রাম-সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং বন্দরে সারেরা ও সাহারে নামের দুটি কনটেইনার জাহাজ পরিচালনা করছে কর্ণফুলী গ্রুপের এইচআর লাইনস লিমিটেড।

এ বিষয়ে কর্ণফুলী গ্রুপের পরিচালক হামদান হোসেন চৌধুরী বলেন, ১ হাজার ৩০০ কনটেইনারভর্তি রপ্তানি পণ্য নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে সারেরা জাহাজটি। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জতিক সমুদ্র পরিবহন ব্যবসায় বাংলদেশের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল হবে। আগামী ২৯ জুন আমাদের আরেকটি জাহাজ ‘সাহারে’ চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা শুরু করবে।

তিনি আরও বলেন, সারেরা চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি থেকে কনটেইনার বোঝাই শুরু করে রোববার সকাল থেকে। এতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানিকারক, দেশি-বিদেশি শিপিং লাইন এবং সংশ্লিষ্ট সকল সেক্টর সহযোগিতা করছে। এজন্য আমরা সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।

সূত্রমতে, সারেরা ও সাহারে জাহাজ দুটি চট্টগ্রাম থেকে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং বন্দরে কনটেইনার পরিবহন করবে। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার নিয়ে বন্দর দুটিতে যাবে জাহাজ দুটি। ফিরতি পথে নিয়ে আসবে আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার। এই সেবার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশ এক্সপ্রেস সার্ভিস’।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশে গভীর সমুদ্র বন্দর না থাকায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে বড় কনটেইনারবাহী জাহাজ ভিড়তে পারেনা। ফলে আন্তর্জাতিক রুটে কনটেইনারবাহী পণ্য পরিবহনের জন্য ছোট জাহাজের উপর নির্ভর করতে হয়। এসব জাহাজে করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কনটেইনারবাহী পণ্য নিয়ে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, চীনসহ বিভিন্ন দেশের বন্দরে ট্রানজিট সুবিধায় রপ্তানি পণ্য নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানো হয়। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও চীনের বন্দরগুলোতে বিদেশি ২২টি ফিডার অপারেটর ৮৪টি কনটেইনার জাহাজের মাধ্যমে ট্রানজিট রুটে পণ্য পরিবহন করে।

এএস/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!