১০ টাকার চাল নিয়ে নয়ছয়, ৩০ কেজির বস্তায় ৮ কেজিই কম!

করোনার মাঝেও কক্সবাজারে থেমে নেই চাল নিয়ে চালবাজি। খোদ খাদ্য কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে চলছে চাল নিয়ে নানা ধরনের অনিয়ম। হতদরিদ্রদের জন্য সরকারের দেওয়া ১০ টাকা কেজি ধরে চাল বিক্রিতে দেখা দেয় নয়ছয় হিসেব। কক্সবাজার সদর খাদ্য গুদাম থেকে নেওয়া প্রতি ৩০ কেজি চালের বস্তায় পাওয়া যাচ্ছে ২২ থেকে ২৩ কেজি। বাকিটা গায়েব।

জানা গেছে, মহামারি করোনা সংকটে পড়া হতদরিদ্র মানুষের জন্য ১০ টাকা কেজি ধরে চাল বিক্রির উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু কক্সবাজারে এ চাল বিতরণে নানা অভিযোগ উঠলেও এবার খাদ্য গুদামে চাল গায়েবের ঘটনা ঘটছে। খাদ্য গুদাম থেকে নেওয়া ৩০ কেজির চালের বস্তায় ৭-৮ কেজি কম পাওয়ার অভিযোগ ডিলারদের।

অভিযোগে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে খাদ্য গুদাম থেকে কক্সবাজার পৌরসভার ঘোনারপাড়ার ডিলার ইউসূফ বাবুল ৫ হাজার কেজি বরাদ্দকৃত চাল নিয়ে যান। কিন্তু তার গোডাউনে নেওয়ার পর ট্রাক থেকে নামিয়ে দেখে বস্তাগুলো অনেকটা খালি। তখন তিনি ওজন দিলে বেশকিছু বস্তায় অন্তত ৮ কেজি করে কম পাওয়া যায়। পরে দেখা গেছে, সর্বমোট ১৪০ কেজি চাল কম পান তিনি।

একইভাবে শুক্রবার বিকেলে সাড়ে ৮ হাজার কেজি চাল নেন ইউসূফ বাবুল। সেখানেও কম পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি চালগুলো নিয়ে সদর খাদ্য গুদামে ফেরত আনলে কর্মকর্তারা চালের বস্তাগুলো পাল্টে দেয়। একই রকম অভিযোগ পাওয়া গেছে শহরের আরও সাতটি ডিলারের কাছে।

নিয়োগকৃত ডিলার ইউসূফ বাবুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পর পর দুইবার চাল কম পেয়েছি। বিষয়টি সত্যি দুঃখজনক। ওনারা কম দিলে আমরা মানুষকে কি দিবো।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সদর খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন প্রতিবেদকের কাছে তার সম্পৃক্ততা নেই এবং এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন। তবে কথার একপর্যায়ে তিনি ফোন কেটে দিয়ে বিভিন্ন ডিলার ও প্রভাবশালীদের দিয়ে নিউজ না করার জন্য বার্তা পাঠান।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আশরাফুল আফসারের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া মেলেনি।

উল্লেখ্য, একই অভিযোগে এর আগেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছিলেন সদর খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তারপরও তিনি বহাল তবিয়েতে থেকে যান।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!