১০ ঘণ্টা জনদুর্ভোগের পর মেয়রের আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার

প্রায় দশঘণ্টা জনদুর্ভোগের পর রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন আন্দোলনরত সংগঠন চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী।

রোববার সকাল ৬টা থেকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ধর্মঘট শুরু হলে চট্টগ্রাম থেকে কোন বাস ছেড়ে যায়নি। যার ফলে সাধারণ দুর্ভোগে পড়েন। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ধর্মঘট আহ্বানকারী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মেয়র। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে বিকেল ৪টায় মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু বলেন, ‘মেয়র আমাদের দাবি মানতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আমাদের দাবি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে অবহিত করবেন। ১৫ দিন পর অগ্রগতি নিয়ে আমাদের সঙ্গে আবারও বৈঠকের আশ্বাস দিয়েছেন। মেয়রের আশ্বাসের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’

বিআরটিএ ও পুলিশের হয়রানি বন্ধসহ ৯ দফা দাবিতে ‘চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদ নামে একটি সংগঠনের’ ডাকে রোববার ভোর ৬টা থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়। সংগঠনটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু।

৯ দফা দাবিসমূহ

১) গণ ও পণ্য পরিবহনের কাগজপত্র হালনাগাদ করার জন্য জরিমানা মওকুফ করতে হবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের নামে হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

২) বিআরটিএ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ভোক্তা অধিকার আইনে গণ ও পণ্য পরিবহনে কোনো জরিমানা আদায় করা যাবে না। হাইওয়ে ও থানা পুলিশ কর্তৃক গাড়ি জব্দ ও রিকুইজিশন করা যাবে না।

৩) চট্টগ্রাম মেট্রো এলাকায় গাড়ির ইকোনমিক লাইফের অজুহাত দেখিয়ে ফিটনেস ও পারমিট নবায়ণ বন্ধ রাখা যাবে না।

৪) ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো অজুহাত দেখিয়ে গণ ও পণ্য পরিবহনের গাড়ি ডাম্পিং করা যাবে না। সেই সঙ্গে ড্রাইভার কর্তৃক চালিত গাড়ির রেকার ভাড়া আদায় বন্ধ করতে হবে।

৫) সহজ শর্তে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে। কাগজপত্র হালনাগাদের ক্ষেত্রে বিআরটিএর কার্যক্রমে ভোগান্তি বন্ধ করতে হবে।

৬) বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগের সড়ক ও মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশাসহ সব ধরনের থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হবে।

৭) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্থাপিত ওয়েট স্কেল দুটি পরিচালনার দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দিতে হবে।

৮) মহাসড়কে পণ্য চুরি/ ডাকাতি রোধে বর্তমান আইনের পরিবর্তে নতুন আইন প্রণয়ণ করতে হবে।

৯) মহাসড়ক ও মেট্রো শহর এলাকায় গণ ও পণ্য পরিবহন চেকিংয়ের নামে যত্রতত্র দাঁড় করিয়ে হয়রানি বন্ধ এবং নির্দিষ্ট দুটি স্থানে চেকিং পয়েন্ট নির্ধারণ করতে হবে।

এইচটি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!