১০ কোটি ডলার খাটানোর পাশাপাশি চট্টগ্রামে হাসপাতালও বানাবে তুরস্ক

প্রায় ৫০০ বছর আগে যে চট্টগ্রাম থেকে জাহাজ রপ্তানি করা হয়েছিল তুরস্কে, সেই চট্টগ্রামে এবার তুরস্কের গ্যাস কোম্পানি অ্যাইগ্যাজ এলপিজি খাতে বিনিয়োগ করবে ১০ কোটি ডলার। পাশাপাশি তুরস্কের অর্থায়নে চট্টগ্রামে নির্মিত হবে একটি হাসপাতালও।

রোববার (১০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম চেম্বার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান এই তথ্য জানালেন।

নগরীর আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের চেম্বার কার্যালয়ে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রাষ্ট্রদূত বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে আগামী ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ।

১০ কোটি ডলার খাটানোর পাশাপাশি চট্টগ্রামে হাসপাতালও বানাবে তুরস্ক 1

প্রায় ৫০০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে তুরস্কে জাহাজ রপ্তানি করা হয়— উল্লেখ করে সেই ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে যৌথ বিনিয়োগ কামনা করেন চেম্বার পরিচালক ও তুরস্কের অনারারি কনসাল জেনারেল সালাহ্উদ্দীন কাসেম খান।

রাষ্ট্রদূত বলেন, সম্প্রতি ঢাকা এবং আঙ্কারায় দু’দেশের নতুন দূতাবাস নির্মাণ পারস্পরিক সম্পর্কে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের ইঙ্গিত প্রদান করছে। তাই তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির বিষয়টি প্রাধান্য পেতে যাচ্ছে। একই সঙ্গে পারস্পরিক বাণিজ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) দু’দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনলাইন বিটুবি সভা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তিনি ওই বিটুবি সভায় অংশগ্রহণের জন্য চিটাগাং চেম্বারকে আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রামে তুরস্কের এলপিজি প্রতিষ্ঠান অ্যাইগ্যাজ ১০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে উল্লেখ করে একটি হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনার কথাও জানান। এক্ষেত্রে তিনি চিটাগাং চেম্বারের সার্বিক সহায়তা কামনা করেন। এছাড়া চট্টগ্রাম চেম্বার আয়োজিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় পার্টনার কান্ট্রি হিসেবে অংশগ্রহণে তুরস্কের আগ্রহের কথা উল্লেখ করেন।

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া প্রণোদনা কাজে লাগিয়ে তুরস্কের ব্যবসায়ীরা মিরসরাইসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারে।

মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চেম্বার পরিচালক জহুরুল আলম, অঞ্জন শেখর দাশ, বেনাজির চৌধুরী নিশান, মো. আবদুল মান্নান সোহেল, মো. এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর ও তাজমীম মোস্তফা চৌধুরীসহ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব গাইজেম আয়দিন এরদেম ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কেনান কালাইছি।

চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণ এবং তুর্কির বিভিন্ন ব্র্যান্ডকে বাংলাদেশে পরিচিত করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন উভয় দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টি, প্রযুক্তি ও বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর চট্টগ্রামে তুর্কি ভাষা ও সংস্কৃতি কেন্দ্র স্থাপন এবং বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্সের সঙ্গে তুরস্কের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তা কর্মসূচি গ্রহণের অনুরোধ জানান।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!