১০০ দিনেই করোনামুক্ত বাংলাদেশ সম্ভব, জনপ্রতি শুধু খরচ পড়বে ৩৪৭২ টাকা!

জনপ্রতি খরচ হবে ৩ হাজার ৭৪২ টাকা ৫০ পয়সা। সারা দেশে সবমিলিয়ে লাগবে ৬০ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা ব্যয় করলে মাত্র ১০০ দিনে দেশকে পুরোপুরি করোনাভাইরাস মুক্ত করা সম্ভব।

শনিবার (২০ জুন) বিকেলে ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেস্পন্সিবিলিটিজ (এফডিএসআরআর) আয়োজিত এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের উপদেষ্টা ডা. আব্দুর নূর তুষার এই দাবি করেছেন।

হিসাব করে তিনি দেখিয়েছেন, সম্ভাব্য মোট ব্যয় ৬০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে গরিবদের খাবার ৪৩ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা, চিকিৎসা খাতে ১০ হাজার কোটি টাকা, অতিরিক্ত জনবল বাবদ ১ হাজার কোটি টাকা, যাতায়াত-খাদ্য ও অন্যান্য খরচ বাবদ ৫০০ কোটি টাকা, ভলান্টিয়ার বাবদ ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং অন্যান্য ব্যয় বাবদ ৩ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয় হবে।

সারা দেশ লকডাউন করতে হবে তিন ভাগে
সম্ভাব্য পরিকল্পনা উপস্থাপন করে অনলাইনের ওই সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সারা দেশকে তিনটি ভাগে ভাগ করে লকডাউন করতে হবে। ১০০ দিনের মধ্যে সংক্রমণ প্রতিরোধে টানা ২৮ দিন ও আরও ১৪ দিনসহ মোট লকডাউন করতে হবে ৪২ দিন। লকডাউন চলাকালে সম্ভাব্য সব রোগীর নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করার চেষ্টা করতে হবে। টেস্ট করা না গেলে লক্ষণের ভিত্তিতে শনাক্ত করতে হবে। প্রথম ২৮ দিনে সব রোগী শনাক্ত হলে পরবর্তী ১৪ দিনে তারা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবেন। পরবর্তী ১৪ দিনে এলাকায় ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক কাজ শুরু হবে। এভাবে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিটি লকডাউন এলাকা করোনামুক্ত হবে। তখন লকডাউন করা এলাকায় বাইরের মানুষ আসা-যাওয়া বন্ধ থাকবে পুরোপুরি।

এছাড়া লকডাউন করা এলাকায় কমিউনিটি সেন্টার কিংবা স্টেডিয়াম অথবা খোলা কোনো জায়গায় আইসোলেশন সেন্টার করতে হবে। জ্বরের লক্ষণ আছে— এমন ব্যক্তিরা সেখানে আইসোলেটেড হবেন। সেখান থেকে যাদের হাসপাতালে নেওয়া দরকার তারা হাসপাতালে যাবেন। যাদের বাসা আছে তারা সেখানেই থাকবেন।

ডা. আব্দুর নূর তুষার
ডা. আব্দুর নূর তুষার

৯০ দিনে সংক্রমণ ও মৃত জিরো করা সম্ভব
লকডাউন এলাকায় সব রোগী শনাক্ত হয়ে যাবেন। শেষ না হলেও তারা হয় জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠবেন অথবা হাসপাতালে যাবেন। সাত দিনের মধ্যে কমিউনিটিতে নতুন কোনো রোগ থাকবে না। হাসপাতালে-বাসায় পর্যাপ্ত ওষুধ-চিকিৎসাসামগ্রী, অক্সিজেন প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। শুধু অক্সিজেনসহ সব সেবামূল্য নির্ধারণ করে দিতে হবে। সুলভে মানসম্মত মাস্ক ও পিপিই পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সব হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রকে কোভিড-১৯ সেবা দেওয়ার উপযুক্ত করে তুলতে হবে। যারা একদমই পারবেন না তারা রোগ শনাক্তকরণ ও পরীক্ষার কাজ করবেন। যারা সুস্থ হবেন তাদের মধ্য থেকে তরুণদের বাড়ি বাড়ি সেবা দেয়ার কাজে নিয়োজিত করতে হবে।

সব আক্রান্ত রোগীর ডাটাবেজ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করার পদ্ধতি প্রস্তুত করা থাকবে। একক নম্বরে স্বাস্থ্যসেবা ও অ্যাম্বুলেন্স হটলাইন চালু করতে হবে। সব স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার অধীনে নিয়ে সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিদিন পরীক্ষার পরিমাণ এক লাখে নিয়ে যেতে হবে। কোরিয়ান কিট ব্যবহার করে এখনকার চেয়ে কম খরচে এটি করা সম্ভব। এর ফলে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন সংক্রমণ অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব। ৯০ দিনের মাথায় সংক্রমণ জিরো এবং মৃত জিরো করা সম্ভব। এরপর কেবল ছোট ছোট এলাকায় জ্বর হলে রোগী হাসপাতালে আসবে এবং তখন কোনো রোগীকে নির্ধারিত হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া যাবে।

যা করতে হবে ৫০ দিন পর
প্রতিটি এলাকায় আবৃত্তি ও মোবাইল এবং টেলিফিল্মভিত্তিক সার্ভিলেন্স থাকবে। প্রতিটি জ্বরের লক্ষণযুক্ত কেস রিপোর্ট হবে। অ্যাক্টিভ সার্ভিলেন্স বা পাহারাদারি ব্যবস্থা চালু থাকবে। প্রতি সপ্তাহে কোন এলাকা কতদূর পৌঁছাল গেল তা গণমাধ্যমে বলতে হবে। তাতে মানুষ রোডম্যাপ জানবে। রোড ম্যাপ জানলে মানুষ স্বেচ্ছায় অংশ নেবে ও কষ্ট করবে। শতভাগ অর্থনীতি চালু করার জন্য লকডাউন এলাকায় ধাপে ধাপে ৫০ তম দিন থেকে পরবর্তী ৫০ দিনের মধ্যে সব অফিস ব্যাংক দোকান ও সিনেমা হল সব খুলে দেওয়া যাবে।

৬০ দিন যা করতে হবে
৬০ তম দিনে বিমানবন্দর ও অন্যান্য বন্দর জনপরিবহনের জন্য খুলে দেওয়া হবে। যদি ভাগে ভাগে সম্ভব হয় তবে এলাকা থেকে এলাকায় যাতায়াত ১০০ দিনের বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল অফিস তার পরবর্তী কাজ শুরু করবে। সর্বত্র স্যানিটাইজার সাবান ও হাত ধোয়ার সরঞ্জাম ও আইসোলেশন রুমের ব্যবস্থা করা থাকবে। মার্কেটে-বাজারে বিশেষ সতর্কতা বজায় রাখা হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে কাজের মধ্যে ১০০ দিনই নানাভাবে রাখা সম্ভব। তাদের জন্য নতুন কর্ম সৃষ্টি করতে হবে।

এক্সপার্ট কমিটি হবে যাদের নিয়ে
একটি এক্সপার্ট প্যানেল গঠন, যেখানে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিরাপত্তা জনসংযোগে বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তি থাকতে পারেন। তবে কমিটি বড় না হওয়া বাঞ্ছনীয়। তারা পরামর্শ দেবেন প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এক্সপার্ট কমিটির প্রধান হবেন, সচিব হবেন স্বাস্থ্যসচিব। এ কমিটি কাজ করবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির অধীনে আর একজন প্রধান কর্মকর্তা থাকবেন। তিনি দ্রুততম সময়ে এই বিপদসংকুল সময়ে সব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে সমন্বয় করবেন। এ ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মী দরকার। রাজনৈতিক কর্মী ও তরুণরা হবে অংশগ্রহণকারী কর্মী। আরও থাকবে সকল বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মী ও সদস্যরা। সারা দেশে প্রতিটি উপজেলাকে কেন্দ্র করে মোট ৫০০ মানুষের দল তৈরি করতে হবে।

ডিজাস্টার এলাকায় প্রয়োজনে সেনা সহায়তা
সবাইকে এনআইডি বা নিজের ফোন নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। প্রত্যেকের রেফারেন্স হিসেবে অন্তত আরও দুজনের নাম দিতে হবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কাজে নিয়োজিত করতে হবে। প্রয়োজনে এলাকাভিত্তিক ডিজাস্টার আইন কার্যকর করে ডিজাস্টার এলাকায় সেনাবাহিনীর সহায়তা নিতে হবে।

প্রচার ও মনিটর হবে যেভাবে
কোয়ারেন্টাইন ও লকডাউন সম্পর্কে লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, হাত ধোয়া, সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স সম্পর্কে জানানো, কাশি ও শ্বাসকষ্টের রোগী থাকলে নির্দিষ্ট এলাকায় রিপোর্ট করতে বলা, এলাকার দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মনিটর করা, যাতে তারা সঠিক সময় খোলা ও বন্ধ করে, বিদেশ থেকে আগত সম্পর্কে তথ্য নিয়ে সেটা যথাযথ স্থানে জানানো এবং এলাকার পাবলিক এরিয়া জীবাণুমুক্তকরণ।

গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে
এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রস্তুত করে সেটা দ্রুত সরকারের নির্দিষ্ট দফতরে পাঠাতে হবে। তাদের কাছে প্রতি সপ্তাহে দুবার খাবার পৌঁছাতে হবে। যারা একদম ছিন্নমূল তাদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু হোটেলে খাবার প্রস্তুত ও বিতরণ করতে হবে। গ্লাভস ও মাস্ক দেওয়া এবং সেটা কিভাবে ফেলতে হবে সেটা শেখানো, সাবান ও স্যানিটাইজার বিতরণ, যারা অন্য কোনো কারণে অসুস্থ তাদের কাছে ওষুধ পৌঁছে দেওয়া, বৃদ্ধ যারা বয়সের ওপরে তাদের আলাদাভাবে তালিকা তৈরি করে বিশেষ যত্ন নেয়ার চেষ্টা করা, এলাকার কৃষক ও খাবারের সময় যারা তাদের বিশেষভাবে রক্ষার চেষ্টা করতে হবে।

২০০ হাসপাতালে করতে হবে করোনা ইউনিট
সরকারি হাসপাতালে গরিবদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। সেখানে কাজ করতে মেডিকেল ছাত্রছাত্রী ও ছাত্র রাজনীতিতে জড়িতদের যথাযথ পিপিই দিয়ে নিয়োজিত করতে হবে। বেসরকারি হাসপাতালগুলো থেকে সারাদেশে অন্তত ২০০ হাসপাতাল নির্বাচন করে সেখানে করোনা ইউনিট স্থাপন করতে সরকারকে বলতে হবে। দেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেন্টিলেটর অন্যান্য সরঞ্জাম কিনে দিতে বলতে হবে— যা তারা আগামী তিন বছর ট্যাক্সের সাথে অর্ধেক অর্থ কিস্তিতে সমন্বয় করতে পারবে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ভেন্টিলেটর কিনতে বলতে হবে।

গরিবের একদিনের খাবার ৪৮২ কোটি টাকা
৫০০ উপজেলায় ভলান্টিয়ার সংখ্যা হবে ৫০ হাজার। তাদের জন্য প্রতিদিন ৪০০ টাকা হারে মাসে লাগবে ৬০০ কোটি টাকা। এটা স্থানীয় এমপি ও নেতারা বহন করবেন। ৫০০ উপজেলায় হতদরিদ্র মানুষ আছে দুই কোটি ৪১ লাখ। তাদের সকলকে একদিন খাওয়ালে খরচ হবে ৪৮২ কোটি টাকা। এক মাসে মোট খরচ ১৪ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা।

চিকিৎসা ব্যয় কতো লাগবে?
মোট আক্রান্ত যদি ১২ কোটি হয় সবার জন্য চিকিৎসা ব্যয় হবে না। তবে লকডাউন করলে এত রোগী হবে না। ছয় ভাগের একভাগেই হয়ে যাবে। সুস্থ হয়ে যাবে ৯ কোটি ৬০ লাখ মানুষ। বাকি আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতালে যাবে প্রায় ২ কোটি ৪০ লাখ লোক। এদের মধ্যে হতদরিদ্র হবে প্রায় ৬০ লাখ। এদের জন্য চিকিৎসা খরচ বাবদ (পিপিই) ব্যয় হবে ৩০০ কোটি টাকা।

ভেন্টিলেটর আইসিইউ খরচ হবে ১ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। ওষুধবাবদ খরচ হবে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। অন্যান্য সকল খরচ বাদে চিকিৎসা ব্যয় বাবদ মোট খরচ হবে ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। স্বল্পতম কর ৫ শতাংশে করোনা সংক্রান্ত সামগ্রী আমদানি করতে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। মাস্ক ও অন্যান্য সরঞ্জাম ফ্যাক্টরিতে উৎপাদনে সহায়তা দিতে হবে।

ওষুধ ও রোগী পরিবহন হবে যেভাবে
এলাকার ফার্মেসিগুলো খোলা রাখতে হবে। যারা ওষুধ কিনতে আসবেন সেখানেই তাদের ইনফ্রারেড থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর দেখতে হবে। সকল জেনারেল প্রাকটিশনারকে তাদের চেম্বার খোলা রাখতে বলতে হবে। সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টার খোলা রাখতে হবে। দমকল বাহিনীকে প্রস্তুত রাখতে হবে অ্যাম্বুলেন্স। ছোট ট্রাকের ওপরে ছাউনি দিয়ে দ্রুত রোগী হাসপাতালে নেওয়ার জন্য ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তর করার ব্যবস্থা নিতে হবে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা হবে যেভাবে
সব হাসপাতাল থেকে করোনা বর্জ্য নিষ্কাশনের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। ক্লিনারদের পিপিই প্রদান ও এ কাজের সংযুক্ত সকলকে ট্রেনিং এবং এলাকার করোনা বর্জ্য ডাম্পিংয়ের জন্য নিরাপদ স্থান নির্ধারণ ও মনিটরিং করতে হবে। করোনা আক্রান্তদের বাসাগুলো থেকে বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য সুইপারদের নিরাপত্তা প্রদান দিতে হবে।

জনসংযোগ চলবে যেভাবে
দ্রুত স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত লিফলেট প্রস্তুত ও বিতরণ, টিভিগুলোতে টিকার চালানো, দেশের বিভিন্ন স্থানে ভিডিও ডিসপ্লেগুলিতে প্রচারণা, এলাকাভিত্তিক মাইকিং, প্রতি এলাকায় একটি মসজিদ থেকে নির্দিষ্ট সময় পরপর করোনা সংক্রান্ত তথ্য মাইকে বলা এবং ভলান্টিয়ারদের টিশার্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে— যেখানে হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব সংক্রান্ত ছবিসহ নির্দেশ দেওয়া থাকবে।

বিতরণ ব্যবস্থা হবে যেভাবে
এলাকাতে ডিস্ট্রিবিউশন পয়েন্ট তৈরি, হোম ডেলিভারি এবং শহর এলাকায় পাঠাও-উবার এসবে সাহায্য নিতে হবে।

করোনার পরে পুনর্বাসন হবে যেভাবে
চাষাবাদের জন্য ঋণ প্রদান, কৃষি সহায়তা, ব্যবসা সহায়তা এবং আপাতত তিন মাসের জন্য ১০ শতাংশের নিচে কৃষি জমি ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ করে রাখতে হবে— যাতে মানুষ করোনার কারণে ভূমিহীন না হয় বরং জমির বিনিময়ে ঋণ প্রদান করা যায়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!