হোটেলকক্ষে আটকে রেখে দুজন মিলে কিশোরীকে ধর্ষণ

কক্সবাজার বেড়াতে নেবে বলে ফুসলিয়ে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে হোটেলকক্ষে আটকে রেখে তিনদিন ধরে ধর্ষণ করে চকরিয়ার ২ যুবক। ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। ঘটনায় এক ধর্ষক গ্রেপ্তার হলেও অন্যজন পালিয়ে গেছে।

ধর্ষণে অভিযুক্ত দুই যুবক হল কক্সবাজার জেলার চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উত্তর ঘুনিয়া গ্রামের মো. কামালের ছেলে শেফায়েত হোসেন (২২) ও দিগরপানখালী গ্রামের মো. আবছারের ছেলে মো. মহিউদ্দিন (২১)। তারা দুজনই এলাকায় ব্যটারি চালিত অটোরিকশা (টমটম) চালায়।

স্থানীয়দের সহায়তায় শেফায়েতকে পুলিশ হেফাজতে নিলেও অন্য অভিযুক্ত মহিউদ্দিন এখনও পলাতক।

জানা গেছে, গত রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) ভাবীর সাথে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায় ওই কিশোরী। বিকালে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ঘুনিয়া এলাকার টমটম চালক শেফায়েত ও তার বন্ধু মহিউদ্দিন কিশোরীকে ফুসলিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে। রাজি হলে তাকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে তিনদিন ধরে তাকে ধর্ষণ করে।

এক পর্যায়ে ১৩ বছরের ওই কিশোরী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষকরা মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে ওই কিশোরীকে তার বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যায়। বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছার পর রাস্তার পাশে স্থানীয় লোকজনকে দেখে সে চিৎকার করে কান্না শুরু করে দেয়। ওইসময় দুই যুবক পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন শেফায়েত হোসেনকে ধরে ফেলে তবে মহিউদ্দিন পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা শেফায়েতকে পুলিশে সোপর্দ করে।

চকরিয়া থানার পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদি হয়ে দুইজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন। একজন আটক রয়েছেন। অপর আসামিকে ধরতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। ভিকটিমকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!