হেফাজতের ৬ নেতা বন্দিদের মুক্তি চাইলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে

কারাবন্দি আলেম-ওলামা ও হেফাজত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে রাজধানীর সচিবালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসচিব সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন হেফাজতের নায়েবে আমির শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, নায়েবে আমির ও হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ইয়াহিয়া, নায়েবে আমির দেওনার পীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদরীস নদভী ও প্রচার সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দীন রাব্বানী।

এই বৈঠকে হেফাজতের পক্ষ থেকে আলেম-ওলামা ও হেফাজত নেতাকর্মীদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে হেফাজতের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ পর্যন্ত যেসব বন্দির মুক্তি হয়েছে, তাদের মুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা করায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যদের শুকরিয়া আদায় করছি। একইসঙ্গে এখনও যেসব ওলামায়ে কেরাম, হেফাজতের নেতাকর্মী বন্দি রয়েছে, তাদের দ্রুত মুক্তিদানের আহ্বান জানাচ্ছি।

সংগঠনটি জানায়, একেকজন বন্দির কারণে একেকটি পরিবার, কোনও ক্ষেত্রে একটি প্রতিষ্ঠান সমস্যায় পড়েছে। কেউ একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে।

বৈঠকে হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে ২০১৩, ২০১৬ ও ২০২১ সালের সব মামলা প্রত্যাহারের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও ওলামায়ে কেরামদের মুক্তির বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। একইসঙ্গে তিনি কারাবন্দিদের সঙ্গে পরিবারের লোকজনের সাক্ষাৎ ও যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর কেন্দ্র করে ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংগঠিত সহিংসতার মামলায় সারাদেশে টানা গ্রেফতার অভিযানসহ নানামুখী চাপে পড়ে হেফাজত।

এসব মামলায় হেফাজতের শীর্ষস্থানীয় ৩০ নেতাসহ সারাদেশে এক হাজার ২৩০ জনেরও বেশি গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ওই মামলাগুলোর তদন্ত করছে পুলিশ, ডিবি, সিআইডি ও পিবিআই।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ‘হেফাজত তাণ্ডব’র ঘটনায় গত বছরই ১৬৫টি মামলা হয়। এসব মামলায় আসামি করা হয় হেফাজতে ইসলামের চার হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে। তাদের মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই হাজারের বেশি। এদের মধ্যে জামিন নিয়েছেন প্রায় এক হাজার ৩০০ আসামি। এই মুহূর্তে কারাগারে আছেন প্রায় ৬০০ জন। বাকি দুই হাজার আসামি জামিন নেননি।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!