হেফাজতের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দেখতে গেলেন জেলা প্রশাসক

পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালীতে মামুনুল হক ইস্যুতে হেফাজতের তান্ডবে আওয়ামী লীগ অফিসসহ ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

বুধবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে বড় মহেশখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা স্থানগুলো পরিদর্শন করা হয়। পরে উপজেলা পরিষদের হলরুমে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আমিন আল পারভেজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিশেষ সভায় ঢাকা থেকে টেলিফোনে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক।

সভায় জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ঘটনায় জড়িত দুস্কৃতিকারীরা রেহাই পাবে না, তাদের ভিডিও ফুটেজ আছে। সব তদন্ত টিম সেগুলো অপরাধীদের চিহ্নিত করবেন এবং দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবেন।

এতে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার ডিজিএফআইয়ের অধিনায়ক, এনএসআইয়ের অতিরিক্ত পরিচালক, কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আনোয়ারুল আজিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম, আনসার ভিডিপির জেলা এডজুটেন্ট, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজুর রহমান, মহেশখালী পৌর মেয়র মকছুদ মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম আজিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ছালেহ আহমদ, কালারমার ছড়ার ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ, শাপলাপুরের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক, ধলঘাটার ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল রাতে মামুনুল হক ইস্যুতে মহেশখালীর বিভিন্ন স্থানে হেফাজতের মিছিল থেকে হামলা ও তান্ডব চালানো হয়। এসময় বড় মহেশখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়, থানা ও উপজেলা পরিষদ কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাংচুর করে। এ নিয়ে দায়ের করা তিনটি মামলায় মহেশখালী উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি তারেক রহমান জুয়েলসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!