হৃদপিণ্ড তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা

মানুষ কোষ দিয়ে সৃষ্টি করবে নতুন কোষ। মানবসৃষ্ট হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপিত হবে হৃদরোগীদের বুকে । শিরা ধমনীতে সুষ্ঠুভাবে রক্ত পাম্প করবে বিজ্ঞানাগারে সৃষ্ট হৃদপিণ্ড । এমনটাই দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।

• ইসরাইলের টেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা একটি ক্ষুদ্র হৃদপিণ্ড বানিয়েছেন।

• এটি তৈরি করতে ত্রিডি প্রিন্টার ও মানুষের ফ্যাট (তৈল) কোষ ব্যবহার করেছেন।

• এটি হয়েছে একটি খরগোশের হৃদয়ের আকারে তবুও একে একটি বড় পদক্ষেপ বলা চলে।

• এটিকে প্রাণির শরীরে প্রতিস্থাপন করে নিরীক্ষার আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।

মানুষের শরীরের টিস্যু ও রক্তনালী ব্যবহার করে তৃতীয় মাত্রার হৃদপিণ্ড তৈরি করেছেন বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও অঙ্গটি শুধুমাত্র একটি চেরির আকারে তৈরি হয়েছে। হৃদপিণ্ডটি রক্ত পাম্প করতে পারে না তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন এই সৃষ্টি চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য বড় একটি সফলতা।

এটি রক্ত পাম্প করতে শুরু করার আগে হৃদপিণ্ডটিকে আরো সফল হতে হবে।এ নিয়ে আরও বেশি কাজ করতে হবে। তবে এক বছরের মধ্যে হৃদপিণ্ডের ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু করবে এমনটাই আশা বিজ্ঞানীদের।

ইসরাইলের টেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সোমবার (১৫ এপ্রিল) তাদের সৃষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং মানব কোষে কীভাবে এটি কাজ করবে তা ব্যাখ্যা করেছেন।

গবেষণা প্রকল্পে নেতৃত্ব দেন তাল ডিভির। তিনি দাবি করেন, ‘শুরুতে মানুষের শরীরের হৃদপিণ্ডের গঠন তৃতীয় মাত্রার মুদ্রণেই থাকে, কোষ বা রক্তনালীর সাথে নয়।’ তিনি বলেন, অঙ্গটি মানুষের পেশির সাথে যুক্ত হতে পারে তবে এটি পূর্ণ পাম্পিং নাও করতে পারে।

তিনি আরও জানান, এটিতে যে কোষগুলো ব্যবহার হয়েছে তা রোগীদের কাছ থেকে নেওয়া ফ্যাটি টিস্যুগুলোর নমুনা থেকে সংগৃহীত হয়। হৃদরোগের ছোট জোড়াগুলো তৈরির জন্য কোষ বাড়িয়ে বিজ্ঞানীরা অবশেষে পুরো অঙ্গটি গঠন করতে তাদের অপারেশনকে বাড়িয়ে তুলেন। তবে সম্পূর্ণ হৃদপিণ্ডটি উ\পাদনের জন্য পর্যাপ্ত কোষের নমুনাটি কীভাবে প্রসারিত করা যায় তা নিয়ে কাজ চলছে। তবে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। একটি ক্ষুদ্রতম রক্তবাহী ধমনী মুদ্রণ করতে একটি অত্যন্ত উচ্চ রেজুলিউশন সমৃদ্ধ প্রিন্টার প্রয়োজন হবে।

গবেষকদের তত্ত্ব অনুসারে, কৌশলটিরে মাধ্যমে একদিন নিজের শরীর থেকে পুনর্ব্যবহৃত কোষ ব্যবহার করে নতুন হৃদপিণ্ড তৈরি করতে সক্ষম হতে পারে । এর ফলে হয়তো একদিন মানুষ আর ক্ষয় হবে না।

আশা করা যায় আগামি দশ বছরে বিশ্বের সেরা হাসপাতালগুলোতে অঙ্গ প্রতিষ্ঠান থাকবে। এই পদ্ধতিগুলোই নিয়মিত পরিচালিত হবে।

তবে তিনি হৃদপিণ্ডের চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের সাথে ট্রান্সপ্লান্টগুলি শুরু করতে চান । এটিই সর্বাপেক্ষা নিরাপদ হবে। স্প্লিন, অ্যাপেনডিক্স, গল ব্লাডার , কিডনি এমনকি ফুসফুসের ক্ষেত্রেও রোগীর ক্ষতি না করেই রোগ মুছে ফেলা যেতে পারে। ডেইলি মেইল অবলম্বনে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!