হুইপপুত্রকে ১০ কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ দিদারের!

পটিয়ার সাংসদ ও হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনকে ১০ কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও নগর আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম চৌধুরী।

শারুন-দিদারের মোবাইল কথোপকথন নিয়ে চট্টগ্রাম প্রতিদিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদে শারুন ওই কথোপকথনকে ‘এডিটেড‘ দাবি করার পাশাপাশি দিদারুল আলম চৌধুরী তাকে ফোনে বিরক্ত করেন বলেও দাবি করেন।

চট্টগ্রাম প্রতিদিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে পটিয়ার সাংসদ ও হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন দাবি করেছিলেন, ‘তিনি (দিদারুল আলম) তার উস্কানিমূলক অশ্লীল কথাগুলো কেটে ফেলে দিয়ে বিভিন্ন অংশ জোড়া লাগিয়ে শুধুমাত্র আমার রাগন্বিত বক্তব্যগুলো প্রচার করে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। নোংরা মনমানসিকতার লোকেরাই পরিকল্পনা করে ফোন দিয়ে রেকর্ড করে এডিট করে অপপ্রচার করেন।’

এই প্রেক্ষিতে দিদারুল আলম পাল্টা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছেন, শারুন যদি প্রমাণ করতে পারেন তিনি তাকে ফোনে বিরক্ত করেছেন এবং ওই অডিও এডিটেড, তাহলে তিনি ১০ কোটি টাকা জরিমানা দিতে প্রস্তুত। দিদারুল এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

শারুনকে নিজের ছেলের মতো উল্লেখ করে দিদারুল আলম চৌধুরী বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে তার ওয়ালে লিখেছেন, “১৯৮৪ সালের ২১ জানুয়ারি আমার শিশু পুত্র মো. জাবের চৌধুরী ১ মাস ৭ দিন বয়সে মৃত্যুবরণ করলে তার দাফন সেরে আমি ক্রিকেট দল নিয়ে ফাইনাল খেলায় মাঠে নেমে বিজয় দিবস ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। গত শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ টুর্নামেন্ট চলাকালীন শামশুল হক চৌধুরীর ছেলে শারুনের সাথে উপরোক্ত বিষয়ে আলাপচারিতায় সে বলে, আংকেল আমার জন্মও তো ১৯৮৪ সালে। ওই মুহূর্তে আমি তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে ‘আমার ছেলে’ বলে সম্বোধন করি।

মোবাইলে আলাপচারিতার বিষয়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংগঠন ও বিভিন্ন জনের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চাপ সৃষ্টি করলেও ওই ছেলে সম্পর্কটি মনে এনে কিছু করিনি এবং কাউকে করতেও দিইনি। যেহেতু জুয়ার একটি ভাগে লাভবান হয়ে কোন সন্ত্রাসী দিয়ে আমার ওপর আক্রমণ করতে পারে—সেজন্য পাঁচলাইশ থানায় একটি আবেদন করে রাখি।

আজ বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারলাম, তার সাথে কথোপকথনের অডিও রেকর্ডটি এডিট করা হয়েছে। এটা জেনে নিশ্চিত হলাম যে, রক্ত তার নিজস্ব গতিতে চলে—এটাই স্বাভাবিক। অডিও রেকর্ডে একটি শব্দও যদি এডিট করা হয়েছে প্রমাণে আমি ১০ কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করলাম। এছাড়া আমি তাকে বারবার কল করেছি বলে যে উক্তি করেছে, সে উক্তির পরিপ্রেক্ষিতে বলছি, গত কয়েক বছরের মধ্যে তার সাথে আমার মোবাইলে কথোপকথন হয়েছে কললিস্ট থেকে প্রমাণে আরো ১০ কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করলাম। ওই কথোপকথনে সে বলেছিল, আংকেল আমাকে ফোন করতেন, আমি আমার মোবাইল সেটটি চুরি হওয়ায় তার নাম্বারটি হারিয়ে ফেলেছি বলে তাকে জানাই, যাহা ওই অডিও রেকর্ডের কথোপকতনে আছে।

এতে প্রমাণিত হল যে, আমি ছেলের আদরে যতই দামী কোট পরাই না কেন প্রতারকের রক্ত থেকে ভাল কিছু আশা করা যায় না।
প্রবাদ আছে, “কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না।”

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!