হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ ফেলে স্বামী পালালেন

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা এক গৃহবধূর মৃত্যু নিশ্চিত করতেই লাশ রেখে পালিয়ে গেলেন স্বামী।

খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মিনু আরা বেগম (২৫) নামে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বিকেলে লোহাগাড়ার কলাউজান ইউনিয়নের বাংলাবাজার মিয়াজি পাড়ায় নিজ বসতঘর থেকে গৃহবধূকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তার স্বামী। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু এর পরপরই হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়ে যান স্বামী।

মিনু ওই এলাকার আবদুল জব্বারের স্ত্রী এবং লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের মেইচ্ছ্যা ঝিরি এলাকার আবুল হাশেমের মেয়ে।

মিনু আরার মা নুরুন্নেছা বেগম জানান, ছয় বছর আগে জব্বারের সঙ্গে মিনুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার মেয়েকে নির্যাতন করে আসছিল। ঘটনার দিন জব্বার ফোনে জানায় তার মেয়ে মিনু গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেয়ের লাশ রয়েছে।

তিনি জানান, আমরা দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে মিনুর মৃতদেহ দেখতে পাই। তখন মেয়ের শ্বশুরবাড়ির কাউকে হাসপাতালে দেখা যায়নি।

মিনুর মা দাবি করেন, তার মেয়েকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করেছে।

এর আগে গত ১৮ জুলাই রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাত মাসের গর্ভবতী এক গৃহবধূর লাশ উপজেলা হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পালিয়ে যাওয়ার সময় শাশুড়িকে ধরে ফেলে স্থানীয় এলাকাবাসী। ২০ বছর বয়সী ওই গৃহবধূর নাম ফারজানা ইয়াছমিন কলি। তিনি লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজবিলা এলাকার জিয়াউর রহমানের স্ত্রী এবং চরম্বা ১নং ওয়ার্ড আতিয়ার পাড়া এলাকার প্রবাসী আজিজ মাস্টারের কন্যা।

ওই গৃহবধূর পরিবারের দাবি, তার মেয়েকে স্বামী জিয়াউর রহমান এবং শাশুড়ি মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। অন্যদিকে শ্বশুরপক্ষের দাবি বাড়ির টয়লেটে অজ্ঞান অবস্থায় পুত্রবধূকে দেখতে পান তারা। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!