হাসপাতালেই রোহিঙ্গা কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণ

জরায়ুর সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক রোহিঙ্গা রোগীর কিশোরী বোনকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে হাসপাতালেই। এতে অংশ নেন হাসপাতালটিরই অন্তত তিনজন কর্মী।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাতে কক্সবাজার শহরের হাসপাতাল সড়কে ‘জেনারেল হাসপাতাল কক্সবাজার’ নামের বেসরকারি হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের এই ঘটনায় হাসপাতালটির তিন কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করেছে কর্তৃপক্ষ।

গত ২৭ জুন কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থা মেডিসিনস্ স্যান্স ফ্রন্টিয়ারস্ (এমএসএফ)-হল্যান্ড পরিচালিত হাসপাতাল থেকে রেফার্ড করা এক রোহিঙ্গা নারী রোগীকে কক্সবাজার শহরের হাসপাতাল সড়কে ‘জেনারেল হাসপাতাল কক্সবাজার’ নামের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রোহিঙ্গা ওই নারীর রোগীর (২৩) সঙ্গে তার ১৭ বছর বয়সী ছোট বোনও হাসপাতালে আসেন। তারা উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ১৪ নম্বর হাকিম পাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।

এদিকে ধর্ষণের এ ঘটনায় চাকরিচ্যুত কর্মচারীরা হলেন হাসপাতালের সিকিউরিটিম্যান নুরুল হক (২৬), লিফটম্যান আতাউর রহমান (২২) ও অফিস সহকারী (পিয়ন) মো. শফি (২০)।

তবে কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ বলছে, তারা এ ঘটনার ব্যাপারে কিছু জানে না। ধর্ষিত কিশোরী বা তার পরিবারের পক্ষ থেকেও থানায় অভিযোগ করা হয়নি।

জানা গেছে, মোটামুটি সুস্থ হয়ে ওঠায় শনিবার (৩ জুলাই) সকালে কক্সবাজারের বেসরকারি হাসপাতালটি থেকে ওই রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এরপর তাকে আবার এমএসএফ-এর কুতুপালংস্থ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে তিনি আরও কয়েকদিন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকবেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!