হালিশহর সৈকতে স্কুলছাত্রী ধর্ষিত, ধর্ষকের জবানবন্দি আদালতে

নিশিতা (ছদ্মনাম) পড়েন চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরের একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে। ৯ ডিসেম্বর বন্ধুসহ বেড়াতে গিয়েছিলেন হালিশহর বারুনীস্নান ঘাট হয়ে সাগর সৈকতে। সূর্যাস্তের সময় তারা আড্ডা দিচ্ছিলেন জেলেদের নোঙর করা নৌকায়। একপর্যায়ে সেখানে উপস্থিত হন এক ‘বড় ভাই’, সঙ্গে আরও একজন।

সহযোগীসহ সেই ‘বড় ভাই’ নিশিতা ও তার বন্ধুকে জেরা করেন। একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে হাঁটুপরিমাণ কাদা মাটিতে হাঁটিয়ে নিয়ে যান পাশের মৎস্য খামারে। মৎস্য খামারে নিয়ে ওই ‘বড় ভাই’ বন্ধুকে নির্দেশ দেন নিশিতাকে ধর্ষণ করার। বন্ধু অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে মারধর করে খামারের এককোণায় আটকে রাখা হয়।

এরপর সেই ‘বড় ভাই’ ও তার সহযোগী মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে নিশিকে। মারধরে আহত বন্ধু আর ধর্ষণে বিধ্বস্ত নিশিকে রেখে পালিয়ে যায় দুই ধর্ষক।

পরে মৎস্য খামার থেকে বেরিয়ে রাত আটটার দিকে হালিশহর থানায় এসে সদ্য ঘটে যাওয়া বীভৎস ঘটনার বর্ণনা দেন নিশিতা ও তার বন্ধু। এরপর মেয়েটিকে পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে। সেখানে মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মেলে।

স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন বিপ্লব দাস সেই ‘বড় ভাই’।
স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন বিপ্লব দাস সেই ‘বড় ভাই’।

ওই রাতেই অজ্ঞাত দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয় হালিশহর থানায়। এর একমাস পর বুধবার (৮ জানুয়ারি) ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় বিপ্লব দাস এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে হালিশহর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) মহানগর হাকিম সারোয়ার জাহানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বিপ্লব দাস সেই ‘বড় ভাই’। তিনি স্থানীয় জেলেপাড়ার বাসিন্দা, পেশায়ও জেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হালিশহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার সিনহা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘হালিশহর বিচে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হওয়া এক তরুণী অভিযোগের ধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা বিপ্লব দাসকে আমরা আটক করেছি। ওই তরুণী ধর্ষককে দেখে নিশ্চিতও করেছেন। অভিযুক্ত বিপ্লব দাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আদালাতে জবানবন্দি দিয়েছে।’

বিপ্লবের অপর সহযোগীকে আটকে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান পুলিশ পরিদর্শক সঞ্জয় সিনহা।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!