হালিশহরের গুদামে মিলল ১০৭ মেট্রিক টন কাপড়, ৩ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা

ঢাকার সাভারের গোল্ডটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেডের বন্ড সুবিধায় আমদানি এবং বন্দর থেকে খালাস করা ১০৭ মেট্রিক টন ফেব্রিক্স কাপড় জব্দ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

এসব পণ্য চালান খালাসের দায়িত্বে ছিল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ‘হালিশহরের স্পিডওয়ে লজেস্টিকস’। আমদানিকারক ঢাকা সাভারের ‘গোল্ডটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেড’। সিঅ্যান্ডএফ এবং আমদানিকারকের যোগসাজসশে বন্ড সুবিধার আড়ালে খোলা বাজারে বিক্রির জন্য রাখা হয় পণ্যগুলো। আটক ১০৭ দশমিক ২৬ মেট্রিক টন ফেব্রিক্সের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ৩ কোটি ২২ লাখ ৮০ হাজার ৮৮৯ টাকা।

চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর হালিশহর বারওয়ানিঘাটা থেকে গত ১৩ অক্টোবর বিকালে অভিযান চালিয়ে পণ্যগুলো জব্দ করে চট্টগ্রামের শুল্ক গোয়েন্দা দল।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) এ চালানের তদন্ত শেষে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জানায়, অভিযানে তিনটি ৪০ ফুটের কন্টেইনার থেকে ২৭ দশমিক ৮৫ মেট্রিক টন, ২৭ দশমিক ৩৯ মেট্রিক টন ও আট দশমিক ৬৯ মেট্রিক টন এবং অননুমোদিত গুদাম থেকে ৪৩ দশমিক ৩১ মেট্রিক টনসহ মোট ১০৭ দশমিক ২৬ মেট্রিকটন কাপড় (Polyester Woven Fabrics) জব্দ করা হয়।

জানা গেছে, বন্ড সুবিধায় আমদানি করা ফেব্রিক্স শুল্ক ও কর ফাঁকি দিয়ে খোলা বাজারে বিক্রির জন্য গুদামজাত করা হয় হালিশহরে।

যার রাজস্ব ঝুঁকির পরিমাণ ২ কোটি ৮৮ লাখ ৩৩ হাজার ২৯০ টাকা। এসব পণ্যের বাজার মূল্য আনুমানিক ১০ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

কর্মকর্তারা আরও জানান, ভাড়ায় চুক্তির মাধ্যমে মেসার্স এএফটি লজিস্টিকস লিমিটেডের প্রোপাইটর মো. খসরুল আলম আকন একটি ভবনের ফ্লোর ভাড়া নিয়ে পণ্য গুদামজাত করেন।

কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রামের ডেপুটি কমিশনার মো. সোলতান মাহমুদ জানান, বন্ড সুবিধায় ডেলিভারি করে অননুমোদিত গুদামে বেআইনিভাবে মজুদ করা হচ্ছিল পণ্য। যা বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধার অপব্যবহার। এ বিষয়ে কাস্টমস আইন অনুসারে আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি ও ফৌজদারি মামলা করা হবে।

প্রচলিত মানিলন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।

এএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!