হার নামক বিপদ সঙ্কেত দেখছে বাংলাদেশ

চট্টগ্রামসহ দেশের সব সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর বিপদ সংকেত চলছে গত কয়েকদিন ধরে। রোববারও বিপদ সংকতের কোন পরিবর্তন হয়নি। তবে বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেষে সাগরপাড়ের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে চলছে ‘দশ নম্বর মহাবিপদ সংকেত’। যেই বিপদ সংকেতের নাম হার। টেস্ট ক্রিকেটে নবীন আফগানিস্তানের কাছে হার নামক লজ্জা পাওয়া বেশি দূরে নয় বাংলাদেশ। মাত্র ৪ উইকেটের।

চতুর্থদিন বাংলাদেশ যখন চা বিরতিতে যায় তখন বাংলাদেশ খেলে মাত্র ৩৪ ওভার। আর তাতেই নাই হয়ে গেলো ৪ উইকেট। বৃষ্টির কল্যাণে চতুর্থ দিনের এক সেশন পরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের পরিকল্পনা কি সেটি বোঝা বেশ দুষ্কর ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এই টেস্টের চা-ড্রিঙ্কস, সব বিরতিই এখন বাংলাদেশ দলের জন্য তেতাে! আক্রমণাত্মক আফগানিস্তান দল এই টেস্ট জয়ের ঘ্রাণ পেয়ে গেছে।

ম্যাচ জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ৩৯৮ রান। সেই রান তাড়ায় নামা বাংলাদেশ চতুর্থদিনের এই রিপোর্ট লেখার সময় করেছে মাত্র ১২৫ রান। হারিয়েছে ৬ উইকেট। আউট হওয়া ছয় ব্যাটসম্যানের সবাই স্পিনে কাটা পড়েছেন। তিনটি উইকেট শিকার করেন রশিদ খান, দুটি জহির খান এবং অপর উইকেটটি মোহাম্মদ নবীর।

দ্বিতীয় ইনিংসে দলের ১০২ রানের মধ্যে ওপেনার সাদমান ইসলামের একার যোগাড়ই ৩৯ । উইকেটে পুরো সেট হয়ে গেছেন এই বাঁহাতি। স্পিন সহায়ক উইকেটে সামনের পায়ে বা পেছনের পায়ে কেমন ব্যাটিং করা প্রয়োজন- সেটা বেশ ভালই করে দেখালেন এই তরুণ। সাদমানের সঙ্গে অপরাজিত ১৪ রান করে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান চা বিরতিতে যান। ১১ রানে অবশ্য একবার জীবন পেয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। রশিদ খানকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু আফগান অধিনায়ক একহাতে সাকিবের সেই ক্যাচ রাখতে পারেননি।

দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হওয়া তিন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মোসাদ্দেক যা করলেন তাকে বলে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসা। ডানহাতি বামহাতি কম্বিনেশনের যুক্তিতে এই ইনিংসে ওয়ানডাউনে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান মোসাদ্দেক। কিন্তু ১৭ বল খেলার পর হঠাৎ তার মনে হলো ছক্কা হাঁকাই! অফস্ট্যাম্পের অনেক দূরে পড়া বলে ব্যাট চালিয়ে দিলেন মোসাদ্দেক। বলের কাছে যেতে না পারায় ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ উঠলো। পেছনের দিকে সরে আসগর আফগান দারুণ দক্ষতায় ক্যাচটা নিলেন।

মুশফিক এবারো পরাস্ত রশিদ খানের স্পিনে। ভুল লাইনে খেললেন মুশফিক। লেগব্রেক আসছে জেনে ব্যাট-প্যাড সামনে বাড়ালেন। কিন্তু মিডলস্ট্যাম্পে পড়া বলটা বাঁক নিলো না। প্যাডে লাগলো। রশিদ খানের আপিলে আম্পায়ার সাড়া দিলেন। রিভিউ নিয়েও মুশফিকের রক্ষা হলো না। উল্টো রিভিউ নষ্ট হলো!

মমিনুল হকও একই কায়দায় ফিরলেন। বোলারও সেই একই।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!