হামলার বিচার চেয়ে উল্টো হয়রানিতে বাঁশখালীর যুবক

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি যুবককে আসামি করে মামলা করলে সেটি এফআইআরে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও আহত হওয়া যুবকের এজাহারের ভিত্তিতে মামলা নিচ্ছে না পুলিশ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাকিল নামের ওই যুবক এখন হামলার বিচার পাওয়ার বদলে মামলায় হয়রানি হচ্ছেন। এসব বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিকারও চেয়েছেন শাকিলের পরিবারের সদস্যরা। তবে পুলিশ বলছে শাকিলের পরিবারের সদস্যরাই অভিযোগ জমা দেননি।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন শাকিলের পরিবার।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাঁশখালী বৈলছড়ি নজুমুন্নেসা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গত ১২ জানুয়ারি আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে আব্দুল করিম এবং সামশুল ইসলাম পক্ষের মধ্যে মারামারির হয়। এ ঘটনায় আব্দুল করিম ও মোহাম্মদ শাকিলসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। মারামারির ঘটনায় ডান পায়ের হাড় ভেঙে যায় মোহাম্মদ শাকিলের, বাঁ চোখে গুরুতর আঘাতও পান তিনি। ঘটনার দিন থেকে শাকিল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

এ ঘটনায় বাঁশখালী থানায় গত ১৭ জানুয়ারি রাতে শাকিলসহ ৯জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় শাকিলের পরিবার মামলা করতে চাইলেও মামলা নিচ্ছে না বাঁশখালী থানা— এমনই অভিযোগ শাকিলের পরিবারের সদস্যদের। আহত শাকিলের মামলা না নিয়ে উল্টো তাকে আসামি করায় রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন শাকিলের পরিবার।

শাকিলের বড় ভাই সরাফত আলী বলেন, ওই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছিল শাকিল। তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে পায়ের হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমরা মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি। অথচ হামলাকারীদের পক্ষে আহত শাকিলকে আসামি করে দায়ের করা মামলা নেওয়া হয়েছে। এজন্য আমরা পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দিয়েছি।

এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘এ ঘটনায় উভয়পক্ষের লোকজন আহত হয়েছেন। এজন্য দুপক্ষকেই অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু ঘটনায় যারা জড়িত নয় তাদেরকে আসামি করে এজাহার দিয়েছিল শাকিলদের পক্ষ। যারা জড়িত নয় তাদের বাদ দিয়ে এজাহার দিতে বলায় তারা আর থানায় আসেনি। এজন্য তাদের পক্ষে মামলা দায়ের করা হয়নি। এখানে উদ্দেশ্যমূলক কিছু হয়নি।’

এআরটি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!