হামজারবাগে মোছলেমের নির্বাচনী প্রচারণায় ছাত্রলীগের ২ গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১০

মোছলেম উদ্দিনের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণাকালে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত ১০জন।উভয় গ্রুপই নগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু তালেবের অনুসারী বলে জানা গেছে। এরমধ্যে আহত ৪জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে চমেক ফাঁড়ি পুলিশ নিশ্চিত করেছে। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশের হামজারবাগ সঙ্গীত সিনেমা হলের মোড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বোয়ালখালী-চাঁন্দগাও আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোছলেম উদ্দিনের প্রচারণা করছিলেন নগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু তালেব। বেলা ১২টায় আবু তালেবের অনুসারী দুই গ্রুপ নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় ভয়ে লোকজন ছোটাছুটি করতে থাকে। এতে আহত হয়েছেন ১০জন। এদের মধ্যে ছুরিকাঘাতে আহত ৪জনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলেন আজমল হায়দার (২০), দুর্জয় আশ্চার্য (২০), ইকবাল (২৩), মিরাজ (২০)। আজমল হায়দার এবং দুর্জয় আর্চাযের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শ্রীলাব্রত বড়ুয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় ৪জনকে ভর্তি করা হয়েছে।’

স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ছাত্রলীগ নেতা আবু তালেবের নেতৃত্বে মোছলেম উদ্দিনের প্রচারণার আয়োজন করা হয়েছিল। এই প্রচারণায় অংশ নেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিনসহ সিটি চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের নেতৃবৃন্দরা। ওই প্রচারণার এক পর্যায়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আবু তালেবের অনুসারীরা।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘শুনেছি নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে কোন এক প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে আমরা কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে সার্বিক নির্বাচনী পরিস্থিতি ভালো আছে।’

এ ঘটনায় আবু সুফিয়ানের কর্মী-সর্মথকদের জড়িত থাকার বিষয়টিকে ‘হাস্যকর’ উল্লেখ করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নিজেদের ভেতরের কোন্দলের দায় আমাদের ঘাড়ে চাপাচ্ছে। এর আগেও নির্বাচনী প্রচারণায় নিজেদের মধ্যে কোপাকুপি করেছে আওয়ামী লীগ। আমাদের কোন কর্মী-সর্মথক এই হামলা চালায়নি, বরং আমাদের ব্যানার-পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, পাঁচলাইশের হামজারবাগ ও আতুরার ডিপো এলাকায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। উভয় গ্রুপই নগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু তালেবের অনুসারী।

এএ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!