হাটহাজারী মাদ্রাসায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী, হেফাজত আমীরের সঙ্গে বৈঠক

চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় হেফাজত আমীর জুনায়েদ বাবুনগরীর সাথে বৈঠক করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। এর আগে তিনি হেফাজতের প্রয়াত আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফীর কবর জেয়ারত করেন।

পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি না থাকলেও ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর হঠাৎ হাটাহাজারী মাদ্রাসা সফর আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যদিও মন্ত্রী বলেছেন, ‘মাদ্রাসা পরিদর্শনের মূখ্য উদ্দেশ্য ছিল আল্লামা শফীর কবর জিয়ারত করা।’

বাবুনগরী ও হেফাজতে ইসলামের অন্যান্য নেতাদের সাথে বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শনে যাই। তারই ধারাবাহিকতার হাটহাজারী মাদরাসায় এসেছি। হুজুরের কবর জিয়ারত করেছি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মধ্যে যাতে সম্প্রীতি বজায় থাকে। সম্প্রীতি বজায় রেখে আমরা যেন ইসলাম ও ধর্ম দুইটাই নিয়মমতান্ত্রিকভাবে অনুসরণ করতে পারি। এছাড়া ভিন্ন ধর্মালম্বীরাও শান্তিতে থাকতে পারে।’

শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হাটহাজারী মাদ্রাসায় পৌঁছান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। সেখানেই তিনি জুমার নামাজ আদায় করেন। এসময় ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর সাথে ছিলেন, ধর্ম মন্ত্রনালয়ের সচিব ড. নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (হজ) আবদুল হামিদ জামারদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত ডিজি ফারুক আহমদ, চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক আবুল আহসান মো. বোরহান উদ্দিন, উপ-পরিচালক মো. সেলিম উদ্দিন ও সহকারী পরিচালক মো. মনিরুজ্জামানসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উধ্বর্তন কর্মকর্তারা।

হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক ও হেফাজত আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ছাড়াও মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সদস্য মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি জসিম উদ্দিন, মাওলানা আহমদ দিদার, মুফতি হুমায়ুন কবির, মুফতি আবু সাইদ, মাও. নুরুল আবছার আল আজহারী, আনোয়ার শাহ আল আজহারী এবং মাও.শফিউল আলম উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ সালাম, উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল আলম চৌধুরী রাশেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী নোমান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আকতার হোসেন এবং যুবলীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক নাজমুল হুদা মনি উপস্থিত ছিলেন।

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!