হাটহাজারীতে হেফাজত তাণ্ডবে নিহত ৪, থানায়-এসিল্যান্ড অফিসে হামলা—ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে আগুন

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় চার জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) জুমার নামাজ শেষে হাটহাজারী দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদরাসা এবং পার্শ্ববর্তী কয়েকটি মাদ্রাসা ও মসজিদ থেকে মিছিল বের হলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, নিহতদের মধ্যে তিন জন হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তারা হলেন মেরাজুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম। তবে মৃত অপরজনের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গুলিবিদ্ধ হয়েই তারা নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, সংঘর্ষ চলাকালে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা হামলা চালায় হাটহাজারী থানায়। তারা এ সময় থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। থানায় প্রবেশ করে ভাংচুর চালায়। এসময় আগুন দেওয়া হয় হাটহাজারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতেও।

জানা গেছে, জুমার নামাজের পর দুপুর দুইটায় হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে দিতে একটি মিছিল বের হয়। ওই মিছিলে হাটহাজারীর আরও কয়েকটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যোগ দেয়। মিছিলটি হাটহাজারী থানার সামনে এলেই থানার দিকে কিছু শিক্ষার্থী ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশের সাথে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ শুরু হয়।

সংঘর্ষ চলাকালে দুপুর ২টার দিকে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা জেলা পুলিশের এএসপি ফারাবী ও এসআই মেহেদীকে মাদ্রাসার ভেতরে আটকে রেখে মারধর করে বলে অভিযোগ উঠে। পরে বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে ওই পুলিশ সদস্যদের পোশাক খুলে নিয়ে আহত অবস্থায় ছেড়ে দেয় তারা। এদের মধ্যে গুরুতর আহত এএসপি ফারাবি ও এসআই মেহেদীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে ছুটে যান চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক র‍্যাব-৭ চট্টগ্রামের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘দুপুর দুইটার দিকে হাটজাহারী মাদ্রাসা থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে হাটহাজারী থানায় বাংচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!